দেশে গণতন্ত্রের সংকট দেখা যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:০৭ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৫
দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সবাইকে আরও বেশি সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, "গণতন্ত্র এখনও পুরোপুরি ফিরে আসেনি, আমাদের সংগ্রাম চলমান। যে সংকট এখন সামনে, তা থেকে উত্তরণে তরুণ প্রজন্মসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।"
ফখরুল বলেন, “স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে হবে এবং দেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।”
আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান-২০২৪: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবদান ও শহীদদের স্মরণে’ এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিলা। এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, রুহুল কবির রিজভী, ড. মোর্শেদ হাসান খান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরী, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, এবং অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
আলোচনায় ফখরুল বলেন, “আমি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের প্রতি অনুরোধ জানাতে চাই, ভবিষ্যতে যদি গণসমর্থনে সরকার গঠন করা হয়, তাহলে প্রথম কাজ হওয়া উচিত শহীদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। পাশাপাশি, আমরা একটি সহায়তা তহবিল গঠন করতে পারি, যার মাধ্যমে এই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।”
এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, “রাজনীতির বর্তমান অস্থিরতার মধ্যে কিছু মহল ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের’ চেষ্টা করছে। আমরা এটিকে রুখে দেব। আমাদের উদ্দেশ্য একটি নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা। কেউ জয়ী হোক সেটা বড় কথা নয়—আমরা শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমানে কিছু দলের কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দেখা যাচ্ছে। এতে রাজনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলা হবে, আবার তাদের নেতৃত্বে চলা—এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
সভায় অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্বজন ও আহতদের পক্ষ থেকেও বক্তব্য দেওয়া হয়। সকলে একমত হন যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তরুণদের ভূমিকা আরও জোরদার করতে হবে।