এনসিপির নিবন্ধন নেই, বড় দল হিসেবে কীভাবে ডাকে সরকার : নুর
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৯:৪১ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষ আচরণ না করলে তাদের জনপ্রিয়তা হ্রাস পাবে এবং নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থাও নষ্ট হতে পারে। তিনি এই সরকারকে পক্ষপাতহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত একটি জনপ্রিয় সরকার যদি নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রতি ঝুঁকে পড়ে, তাহলে তা জনগণের আস্থার সংকট তৈরি করবে। আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি, এই অবস্থায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আদৌ সম্ভব হবে কিনা, সে প্রশ্ন উঠছে।”
বিএনপির বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, মাঠেও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তাদের সঙ্গে সরকার আলোচনা করতে পারে, এতে সমস্যা নেই। তবে চারটি দলকে কীভাবে বড় দল হিসেবে নির্বাচন করা হলো, তা পরিষ্কার নয়। এর মধ্যে একটি দলের তো এখনো নিবন্ধনই নেই।”
নুর জানান, এ বিষয়ে ১৩ দলীয় জোটের সব নেতারাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বৈঠকে সরব প্রতিবাদ তুলেছেন।
তিনি বলেন, “সরকারের কর্মকাণ্ডে এনসিপিকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার মতো আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা ন্যায্য নয়। একটি নিরপেক্ষ সরকারের উচিত ছিল সবার সঙ্গে সমান আচরণ করা।”
আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে আইনজীবী চিন্ময় দাস হত্যাকাণ্ড এবং গোপালগঞ্জের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সরকারের গোয়েন্দা ব্যর্থতার পরিচায়ক। সাধারণ মানুষ আগেই যেটা বুঝতে পারে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি না পারে, তবে সেটি উদ্বেগজনক।”
নুর আরও বলেন, “সাবেক স্বৈরাচারপন্থী শক্তিগুলো বিভিন্ন আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। এ বিষয়ে আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বিষয়ে তার অভিযোগ, “সংঘর্ষ বা চাপের মুখে কিছু রাজনৈতিক দলের বক্তব্যকে অতিমূল্যায়ন করে কমিশন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বৃহত্তর জনআকাঙ্ক্ষা উপেক্ষা করে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।”
তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সরকারের পারফরম্যান্সে আমরা আশানুরূপ অগ্রগতি দেখিনি, বরং কিছু ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।”
স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, “জনপ্রতিনিধি না থাকায় পর্যায়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। সরকারের উচিত কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনিক প্রস্তুতি যাচাই করা।”
ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, “গত ১১ মাসে এনসিপি ছাড়া কোনো ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেনি সরকার। আমরা সব ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছি। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দিয়েছেন।”