ছাত্রনেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে মুখ খুললেন রাশেদ খাঁন


ছাত্রনেতাদের চাঁদাবাজি নিয়ে মুখ খুললেন রাশেদ খাঁন

রাজধানীর গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য সাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাঁচ নেতার হাতেনাতে গ্রেপ্তারের ঘটনায় দেশে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় সংগঠনের ভেতর থেকেই উঠেছে তীব্র অসন্তোষ ও অভিযোগের সুর।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ছাত্রপ্রতিনিধি নিয়োগের নামে তদবির, বদলি, নিয়োগ ও প্রমোশনে অনিয়ম হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য দপ্তরে উপদেষ্টা পরিষদের নির্দেশে ছাত্রনেতাদের মাধ্যমে তদারকি চলছে, যা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে চাঁদাবাজিতে।

তিনি জানান, একজন ডিসি তাকে বলেছেন, প্রতিটি দপ্তরে ছাত্রপ্রতিনিধি নির্ধারণ করা হয়েছে যারা নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। এমনকি বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্যে তারা জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।

রাশেদ খান বলেন, “একজন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা আমাকে বলেছে, কেউ কেউ এই সুযোগে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের পরে এদের প্রতিমন্ত্রীর সমান মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল।”

তিনি আরও দাবি করেন, এই তরুণদের ক্ষমতা কেন্দ্র করে তারা দিশাহীন হয়ে পড়েছে। এর জন্য তিনি দায়ী করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপদেষ্টা পরিষদকে।

রাশেদ অভিযোগ করেন, এনজিও সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, মানবাধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের সদস্যরা তরুণ নেতৃত্বকে বিভ্রান্ত করে বিপ্লবকে বিপথে ঠেলে দিয়েছে। তিনি প্রস্তাব দেন, ৮ আগস্ট ‘বিপ্লব বেহাত দিবস’ ঘোষণা করে এসব ব্যক্তিকে চিহ্নিত ও স্মরণ করা উচিত।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমাও ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন, যা ছাত্র রাজনীতির নৈতিক সংকটকে আরও গভীর করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×