‘৪ আগস্ট রাতেই হাসিনা পতনের পরিকল্পনা করেন শিবির নেতা সিবগাতুল্লাহ’
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:০২ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২৫
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট রাতে এক বৈঠকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিয়ে গণভবন দখলের চূড়ান্ত পরিকল্পনা করেন শিবির নেতা সিবগাতুল্লাহ। ওই রাতের মিটিংয়ের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বাংলাভিশনের সিনিয়র সাংবাদিক কেফায়েত শাকিল।
শনিবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে কেফায়েত শাকিল এসব তথ্য প্রকাশ করেন। তার এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জুলাইজুড়ে প্রতিদিনই প্রায় ৩০ জন তরুণ সাংবাদিকের একটি গ্রুপ আন্দোলনের পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করত। এই মিটিংগুলো সমন্বয় করতেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি প্লাবন তারেক ও সাংবাদিক ইসরাফিল ফরাজি। বিভিন্ন দিন বিভিন্ন সমন্বয়ক এই বৈঠকে অংশ নিতেন।’
তিনি আরও জানান, ২ আগস্টের বৈঠকে সিবগাতুল্লাহ এসে বলেন, “এ সপ্তাহেই আমরা সরকার পতনের সম্ভাবনা দেখছি। আপনারা সহযোগিতা করলে এটা সফল করা কঠিন হবে না।”
তখন সিবগাতুল্লাহর রাজনৈতিক পরিচয় স্পষ্ট না থাকায় তার বক্তব্য কিছুটা অবাস্তব মনে হলেও, তার আত্মবিশ্বাস দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন বলে জানান কেফায়েত।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ৪ আগস্ট রাতের মিটিং। কেফায়েতের ভাষায়, ‘সে রাতে সিবগাতুল্লাহ আবার আসে। বলেন, কালই হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাই। সব পরিকল্পনা প্রস্তুত। লোকজন তৈরি। যেভাবেই হোক কাল গণভবন দখল করব, এতে যত মৃত্যুই হোক। এ ক্ষেত্রে আপনাদের একটা বড় সাপোর্ট লাগবে...’
তিনি লিখেছেন, “আমি সেই সময় থেকেই বিজয়ের গন্ধ পেতে শুরু করি...”
এর আগেও এক ভাইরাল পোস্টে কেফায়েত দাবি করেছিলেন, ১৯ জুলাই ছাত্রশিবির ৯ দফা দাবি দিয়ে পুরো আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ১৯ জুলাই সরকারের তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে নাহিদ, হাসনাত ও সারজিস নামে তিন সমন্বয়ক জানান, ২০ জুলাই শুধুই কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করা হবে।
তবে, ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ওইদিনই ৯ দফা ঘোষণা দিয়ে তা প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারের ঝুঁকি নেন। আব্দুল কাদেরের মাধ্যমে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়, যা আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রশিবিরের হাতে তুলে দেয় বলে উল্লেখ করেছেন কেফায়েত শাকিল।