একটা দলকে খুশি করতে ঘোষণাপত্র হবে জুলাই চেতনার পরিপন্থি : গণঅধিকার পরিষদ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:১০ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৫
জুলাই মাসের বিপ্লব কোনো একটি দলের একক কৃতিত্ব নয়, বরং তা দীর্ঘ রাজনৈতিক ও ছাত্র আন্দোলনের ফল এমনটাই দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটি বলছে, অংশীজনদের সম্মিলিত আলোচনার ভিত্তিতে না হলে ঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্র হবে পক্ষপাতদুষ্ট ও বিভাজনমূলক।
রোববার (৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এসব কথা জানায়। লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, জুলাই কারও একার সম্পদ নয়। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল বিগত ১৪-১৫ বছরের ছাত্র ও গণআন্দোলনের যৌথ ফলাফল। কেউ যদি শুধু ৩৬ দিনের আন্দোলনকেই ইতিহাস বানাতে চায়, তবে সেটা অতীত সংগ্রামের অস্বীকৃতি এবং ইতিহাসকে বিকৃত করার শামিল।
তিনি আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, কিন্তু যারা আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন—তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
রাশেদ খান উল্লেখ করেন, ২০১৩ সালের শাপলাচত্বর গণহত্যা, ২০১৫ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন সবই ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে তরুণদের ক্রমাগত জাগরণের অংশ। ২০১৮ সালে শেখ হাসিনা সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন, যা ছাত্রদের সংগ্রামের বড় বিজয় ছিল।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের অধীনে গেস্টরুম, মাফিয়া লীগ, নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, ও মামলা-হামলার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ যে প্রতিরোধ গড়েছে, সেটাই ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ৫ জুন হাইকোর্টের রায়ের পর কোটা সংস্কার আন্দোলন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় এবং সেটিই শেখ হাসিনার পতনের পথ তৈরি করে।
গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, যারা মাঠে জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, কারাবরণ করেছে, তাদের যথাযথ স্বীকৃতি ছাড়া কোনো ঘোষণাপত্রই গ্রহণযোগ্য নয়। নতুন বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা হতে হবে সকল মুক্তিকামী তরুণের নেতৃত্বে, যেখানে দল-মত নির্বিশেষে সবাই তাদের ভূমিকার মর্যাদা দেবে, জানান রাশেদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সদস্য শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিমসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।