মাজারে হামলা বাংলাদেশের ইতিহাস ম্লান করেছে: আহলে সুন্নাত

দেশের সুফিবাদীদের অনুসারীরা অভিযোগ করেছেন, ‘৫ আগস্টের পর এক বছরে প্রায় শতাধিক মাজারে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে, যা বাংলাদেশের ৫৫ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে ম্লান করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মাজার ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের প্রবণতাও থামছে না।’

শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এর জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে শাইখুল হাদীস কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দীন আশরাফীকে চেয়ারম্যান ও ড. আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে মুসলিম বিদ্বেষী অপশক্তির আধিপত্য স্পষ্ট। ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত অব্যাহত থাকলেও রাষ্ট্রযন্ত্র নির্বাক ও উদাসীন রয়েছে। জাতীয় নীতি-নির্ধারণসহ রাষ্ট্রীয় যে কোনো বিষয়ে সূফিবাদী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতকে অবহেলা করা হচ্ছে, যেখানে বাতিল অপশক্তির সক্রিয় অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ধরনের বৈষম্য রাষ্ট্রকে ভুল পথে নিয়ে যাবে। কিছু মহল ইসলামের নাম ব্যবহার করে মুসলমানদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করছে এবং পবিত্র ম্যান্ডেট ছিনতাই করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

কাউন্সিলে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থপাচার রোধ ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার মতো ২৩ দফা দাবি সম্বলিত ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। শেষে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাতের মাধ্যমে কাউন্সিল সমাপ্ত হয়।

কাউন্সিলে পীরে তরিকত আলহাজ সাঈফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পীরে তরিকত শেখ আল্লামা সিরাজ নগরী, আল্লামা সৈয়দ বাহাদুর শাহ মুজাদ্দেদী, আল্লামা এম এ মতিন, শাইখুল হাদীস কাজী মোহাম্মদ মুঈন উদ্দীন আশরাফী, ড. শাহ আব্দুল্লাহ আল মারুফ শাহ, পীর সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, পীর আল্লামা আবুল কাশেম নুরী, অধ্যক্ষ আবুল ফারাহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, শাইখ মুফতি শফিউল আলম নিজামী, অধ্যক্ষ স উ ম আবদুস সামাদ, অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদীন জুবায়ের, শাইখ আবু সুফিয়ান আবেদী খান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আল্লামা জসিম উদ্দিন আল আজহারী, অধ্যক্ষ এস এম ফরিদ উদ্দীন, অধ্যক্ষ ইবরাহীম আখতারী, স ম হামেদ হোসাইন, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, ড. ইসমাইল নোমানী, পীর গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, মুফতী নাজিরুল আমিন রেজভী, খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, আবুল কাশেম ফযলুল হক, মাওলানা আ ন ম মাসুদ হোসাইন আল-কাদেরী, গোলাম মাহমুদ ভূইয়া মানিক প্রমুখ।