জামায়াত ও বিএনপির বিভেদের ফলে আ. লীগ ফেরার সুযোগ পাচ্ছে: নাসীরুদ্দীন


জামায়াত ও বিএনপির বিভেদের ফলে আ. লীগ ফেরার সুযোগ পাচ্ছে: নাসীরুদ্দীন

দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক বিভাজনের কারণে আওয়ামী লীগের আবারও ফেরার সুযোগ তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কৃষক উইংয়ের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, “দুই দল নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কারণে আওয়ামী লীগ ফেরার সুযোগ পাচ্ছে। একদিকে জামায়াতের ভাইয়েরা, অন্যদিকে বিএনপির ভাইয়েরা। একজন আজকে কর্মসূচি দেয়, আরেকজন কালকে কর্মসূচি দেয়।”

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমরা সংস্কার করতে না পারলে শেখ হাসিনার শাসনতান্ত্রিক কাঠামো বারবার ফিরে আসার চেষ্টা করবে। আমরা আমাদের জীবনকে কোনো পরিবারের কাছে বর্গা দিতে চাই না। কোনো পরিবারের কাছে জীবন বর্গা দিয়ে আমরা দাস হতে চাই না।”

গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ইসির সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এজন্য সরকারের কাছে আমরা আহ্বান জানাবো এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কাছেও আহ্বান জানাবো, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করুন। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী না করে একদিনে ভোট ও গণভোট হলে এটি হুমকির মুখে পড়বে।”

সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে এনসিপি নেতা বলেন, “সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা সরকারকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে অনেকে মব বলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গত এক বছরে সেই শক্তি স্তিমিত হয়ে যায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “এই সরকারের নৈতিক ভিত্তি ছিল গণঅভ্যুত্থান এবং বিপ্লব। সরকারের উচিত ছিল জনগণের সামনে শপথ পাঠ করা। সরকার সেই জায়গায় ভুল করেছে। এখন প্রশ্ন হলো, জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি কে দেবেন? নৈতিকতার জায়গা থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেবেন।”

আওয়ামী লীগের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ অনলাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় ভীতি ছড়িয়েছে। গত ১৫ বছরের তাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি দিয়ে তারা ককটেল নিক্ষেপ করেছে, বাসে আগুন ধরিয়েছে। আওয়ামী লীগের যাদের ব্যবসা ছিল, তারা ওই অর্থ দিয়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে।”

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, “শেখ হাসিনার রায় ১৭ নভেম্বর ঘোষিত হবে, এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য একটি নতুন মাইলফলক।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×