যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা: সন্ত্রাসী পাতা সোহেল-সুজন গ্রেপ্তার
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:২৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
মিরপুরে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার ঘটনায় আলোচিত দুই সন্ত্রাসী পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন এবং সুজনকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।
র্যাবের একটি দল মঙ্গলবার (১৮) নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকার সাভার ও টঙ্গী এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম। তিনি জানান, বুধবার ১৯ নভেম্বর বিকেল ৩টায় কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।
গত সোমবার ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তিনজন অস্ত্রধারী, যারা তখন হেলমেট ও মুখোশ পরা অবস্থায় ছিল, মিরপুর ১২ নম্বরের বি ব্লকের ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ দোকানে ঢুকে কাছ থেকে গুলি করে কিবরিয়াকে হত্যা করে। গুলির পর তারা পালানোর সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় উঠে দ্রুত চালাতে না পারায় চালক আরিফ হোসেন (১৮) কে গুলি করে। আরিফকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রক্তাক্ত কিবরিয়াকে স্থানীয়রা শেরেবাংলা নগরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা জনি ভূঁইয়া নামে ২৫ বছর বয়সী এক যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
পরদিন মঙ্গলবার ১৮ নভেম্বর নিহত কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার ওরফে দীনা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় হাতেনাতে আটক জনি সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা হলেন সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মনির হোসেন (৩০), সোহাগ ওরফে কালু (২৭), মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম (২৮) এবং রোকন (৩০)। পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় আরও সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে হত্যায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। পল্লবী থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।