বেহেশতের টিকিট বিলিকারী আর লকডাউন দাতাদের মধ্যে সম্পর্ক আছে: এ্যানি
- লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৫:০১ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, যারা লকডাউন দিচ্ছে আর যারা বেহেশতের টিকিট দিতে চায়, এদের সঙ্গে ভেতরে-ভেতরে একটা সম্পর্ক আছে। যেটা ৮৬ সালে হয়েছিল, ৯৬ সালে হয়েছিল। এরা ১৭২ দিন হরতাল-অবরোধ করে মানুষকে জিম্মি রেখে দেশের ক্ষতি করেছে, মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। এখন আবার লকডাউনের নামে এআই দিয়ে মিছিল-মিটিং দেখায়।
তাদের কিছু কর্মী আছে গুপ্তভাবে। এই গুপ্ত রাজনীতির সঙ্গে মিলেমিশে আজ তারা বোমা হামলা করে, গাড়িতে আগুন দেয়।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বড়ালিয়া বিদ্যালয় মাঠে নারী ভোটারদের নিয়ে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, এনসিপি একটি নতুন রাজনৈতিক দল। ঢাকায় তাদের কার্যালয়ের সামনে হাতেনাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার করার পর দেখা গেছে, এটা শিবিরের কর্মী। ঘটনা কী? গভীর ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে, নির্বাচন যেন না হতে পারে। তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, নির্বাচনটাকে বন্ধ করে দিতে চায়।
তিনি বলেন, তাদের কাছে পরিসংখ্যান আছে, হিসাব আছে। নির্বাচন হলেই গণমানুষের দল আসবে, নির্বাচন হলেই বিএনপি আসবে, নির্বাচন হলেই জিয়ার দল আসবে, নির্বাচন হলেই খালেদা জিয়া আসবে, নির্বাচন হলেই তারেক জিয়া আসবে। তাদের এটা ভালো লাগে না, তাদের পছন্দ না। তারা গুপ্ত রাজনীতি করে। দেশের বাইরে বসে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি করছে। ব্যাপকভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ইসলামিক দলকে বলব; নতুনভাবে বাংলাদেশ গড়ার চিন্তা করুন। মানুষের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করুন। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। গুপ্ত রাজনীতি করবেন না। স্বচ্ছ রাজনীতিতে আসুন। অপব্যাখ্যা দেবেন না, অপপ্রচার করবেন না।
এ্যানি বলেন, হাসিনা ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি। ২৮ অক্টোবর, ১০ ডিসেম্বর এই দেশে কার কী ভূমিকা ছিল সেটা মানুষ দেখেছে। আপনাদের অনেক সিনিয়র নেতা বিভিন্নভাবে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, অনেক সিনিয়র নেতা ফাঁসির মঞ্চে ঝুলেছে। সেই দিকগুলো বিবেচনা করে স্বচ্ছ রাজনীতিতে আসুন। স্বচ্ছ ভোটের মাধ্যমে জনগণ যাকে ভোট দেয়, আপনার আদর্শভিত্তিক, আমার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দর্শনের আলোকে, আমার আদর্শভিত্তিক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দীন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম ইউছুফ ভূঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার শিমু ভূঁইয়া প্রমুখ।