নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে রোববার থেকে বিচারকদের কলমবিরতির হুঁশিয়ারি


নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে রোববার থেকে বিচারকদের কলমবিরতির হুঁশিয়ারি

রাজশাহীতে জেলা জজের বাসভবনে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর দেশের বিচারকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তীব্র আকার নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন দুই দফা দাবি তুলে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। দাবি না মানা হলে আগামী রোববার থেকে সারাদেশের বিচারকরা একযোগে কলমবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সংগঠনের সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম এবং মহাসচিব মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবিগুলো জানানো হয়।

বিচারকদের প্রধান দাবি- দেশের সব আদালত প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসস্থান এবং যাতায়াতের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজশাহীর ঘটনায় বিচারকের নিরাপত্তায় অবহেলা এবং গ্রেপ্তার আসামিকে আইন বহির্ভূতভাবে গণমাধ্যমে উপস্থাপন করে “অপেশাদার আচরণে” জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারকদের কর্মস্থলের পরিবেশ ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে রোববার থেকে কলমবিরতি পালন করবেন বিচারকেরা।

রাজশাহীতে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জেলা জজ মোহাম্মদ আবদুর রহমান–এর বাসায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন তাঁর ১৭ বছরের ছেলে তাওসিফ রহমান। হামলায় আহত হয়েছেন তাওসিফের মা তাসমিন নাহার। এ ঘটনায় জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গভীর শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আদালত, ট্রাইব্যুনাল, বিচারকদের বাসভবন ও সরকারি যানবাহনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্ট বহুবার সরকারকে চিঠি দিয়েছে। তবু কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বিচারকদের ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও তাঁদের পরিবার নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়।

জেলা পর্যায়ের বহু বিচারকের সরকারি আবাসন ও অফিসিয়াল পরিবহন না থাকায় চৌকি আদালতের বিচারকদের অনিরাপদ ভাড়া বাসায় থাকতে হয়। অনেকেই রিকশা-ভ্যানে বা হেঁটে কর্মস্থলে যাতায়াত করতে বাধ্য হন; বিবৃতিতে এমন বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে।

এ ছাড়া রোববার সব বিচারক নিজ নিজ কর্মস্থলে কালো ব্যাজ ধারণ করবেন বলেও জানানো হয়।

গতকাল (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ খুন হন। হামলাকারী লিমন মিয়া, বয়স ৩৫, তাঁদের পরিচিত ব্যক্তি। ধস্তাধস্তির সময় লিমনও আহত হন এবং বর্তমানে হাসপাতালে পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×