আজকের রায় পুরো পৃথিবীর জন্য নজির স্থাপন করেছে: ওসমান হাদি
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:২২ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার পরদিন বিকেলে ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে জমে ওঠা উত্তেজনা ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, সোমবারের রায়কে তিনি শুধু বাংলাদেশের নয়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেরও এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন।
১৭ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ট্রাইব্যুনাল ভবন থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পৃথিবীর কোনো শক্তি স্থায়ী নয় এবং কোনো স্বৈরশাসকও চিরকাল মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না। তাঁর ভাষায়, “শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি পুরো পৃথিবীর জন্য একটি নজির স্থাপন হয়েছে।”
ওসমান হাদি আরও উল্লেখ করেন, কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং রাজসাক্ষী আইজিপি মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি রায়ে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। যদিও মামুন আদালতকে সহায়তা করেছিলেন, ট্রাইব্যুনাল জানায় তাঁর অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার কথা। তবে সহযোগিতা বিবেচনায় সাজা কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। হাদির ভাষ্যমতে, শহীদ পরিবার মনে করছে তাঁর শাস্তি অন্তত যাবজ্জীবন হলে ন্যায়বিচার আরও স্পষ্ট হতো।
উল্লেখ্য, চব্বিশের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে সোমবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ছয় অধ্যায়ে সমন্বিত ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পাঠ শুরু করেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্যানেলে আরও ছিলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। দুই ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পাঠ শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার।