যুক্তরাষ্ট্রে শেষ হলো ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউন, ট্রাম্প স্বাক্ষরিত বিল কার্যকর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি দপ্তরগুলো পুনরায় কার্যক্রম শুরু করেছে ইতিহাসের দীর্ঘতম শাটডাউনের পর। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার একটি অন্তর্বর্তী অর্থ বিলে স্বাক্ষর করেছেন, যা মার্কিন সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়েছে। সিএনএনের খবর অনুযায়ী, এই অচলাবস্থা ৪৩ দিন ধরে চলেছিল।

ওভাল অফিসে বিলটিতে স্বাক্ষর করার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে ছিলেন স্পিকার মাইক জনসন এবং অন্যান্য রিপাবলিকান নেতা। এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিল আগামী শরৎ পর্যন্ত সামরিক নির্মাণ, ভেটেরান্স অ্যাফেয়ার্স, কৃষি দপ্তর এবং কংগ্রেসের কার্যক্রমের তহবিল নিশ্চিত করেছে। অন্য সরকারি দপ্তরগুলোর জন্য অর্থায়ন কার্যকর থাকবে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত।

৩০ সেপ্টেম্বর কংগ্রেস নতুন বাজেট অনুমোদনে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে দেশটির ফেডারেল সংস্থাগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। প্রায় ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনেকেই বাধ্যতামূলক ছুটিতে ছিলেন, আবার কেউ কেউ বেতন ছাড়া কাজ করছিলেন। এর ফলে বিশেষ করে বিমান চলাচল খাতের কার্যক্রমে বড় ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় এবং কয়েক হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়।

শাটডাউন শেষ করতে প্রথমে সিনেটে বিল পাস করা হয়, পরে তা প্রতিনিধি পরিষদে পাস হয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে পাঠানো হয়। ট্রাম্পের স্বাক্ষরের পর ফেডারেল দপ্তরগুলো পুনরায় স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করবে। এই বিলের মাধ্যমে বাধ্যতামূলক ছুটিতে থাকা প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার সরকারি কর্মচারী আবার কাজে যোগ দেবেন এবং যারা গত ৪৩ দিন বিনা বেতনে কাজ করেছেন তারা বকেয়া বেতন পাবেন। শাটডাউনের কারণে বরখাস্ত হওয়া ফেডারেল কর্মীরাও পুনর্বহাল হবেন।

ওভাল অফিসে স্বাক্ষরের পর ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটদের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমরা কখনো চাঁদাবাজির কাছে নত হবো না। এতদিন যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছিল সেটির কথা আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে মনে রাখা উচিত।’

প্রতিনিধি পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে স্পিকার জনসন বলেন, “ডেমোক্র্যাটরা জানত শাটডাউনের কারণে জনগণের কষ্ট হবে, তবুও তারা বিলের পক্ষে ভোট দেয়নি। এই পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল অর্থহীন।” এক মাসের বেশি সময় বিল পাস না হওয়ার পর ভোট দেয়াকে অনেক ডেমোক্র্যাট ‘অত্যধিক ছাড়’ হিসেবে দেখছেন।