ঋণের নামে সাড়ে ৩১ কোটি টাকা লুটপাট: আসামি সাইফুজ্জামানসহ ১৯
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:২৬ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৫
অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ব্যাংক ঋণের আড়ালে প্রায় ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামানসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চারটি পৃথক মামলা করেছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
প্রথম মামলায় ৮ কোটি টাকার আত্মসাতের অভিযোগে বাদী হয়েছেন দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমান। দ্বিতীয় মামলায় ৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাইনুদ্দিন আহমেদ। তৃতীয় মামলায় ৫ কোটি ২০ লাখ টাকার আত্মসাতের অভিযোগে বাদী উপসহকারী পরিচালক মো. সজীব আহমেদ এবং চতুর্থ মামলায় ৮ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকার অভিযোগে বাদী হয়েছেন উপসহকারী পরিচালক মো. রুবেল হোসেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বশির আহমেদের প্রতিষ্ঠান বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিক্সের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান এবং সিন্ডিকেট সদস্য মো. আবুল কালামের সহায়তায় গ্রামের সাধারণ মানুষ নুরুল বশর, মোহাম্মদ আয়ুব, মো. ইউনুছ ও মো. ফরিদুল আলমের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে এসব তথ্য ব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং সেখান থেকে ঋণ অনুমোদন নেওয়া হয়।
পরে অনুমোদিত ঋণের পুরো ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা বিভিন্নভাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয় বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রী রুকমিলা জামান, ইউসিবিএল এবং ইউসিবি পিএলসির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী, এভিপি ও অপারেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল আউয়াল, এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. আবু বকর খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার জামাল উদ্দিন, এভিপি জিয়াউল করিম খান এবং একই শাখার ভিপি ও শাখা প্রধান মো. জাহিদ হায়দার।
তাছাড়া, আরামিট পিএলসির সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যবসায়ী - মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম, ক্লাসিক ট্রেডিংয়ের মালিক ও এজিএম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আলোক ইন্টারন্যাশনালের মালিক প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, বি অ্যান্ড বি ইলেকট্রনিক্সের কর্মচারী মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং দিদারুল আলমকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও ইউসিবিএল ও ইউসিবি পিএলসির নির্বাহী কমিটির সাবেক পরিচালক বজল আহমেদ বাবুল (সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান), এম এ সবুর, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও আসিফুজ্জামান চৌধুরীর নামও আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।