দুই অধ্যাদেশ সংশোধন নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বিমান উপদেষ্টা

বেসামরিক বিমান চলাচল খাতের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশ সংশোধনের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর বিষয়বস্তু ও মূল পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিত করা হবে।

সম্প্রতি ‘বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া নিয়ে নানামুখী আলোচনা শুরু হয়েছে। খসড়াটি নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ইতোমধ্যে তাদের পর্যবেক্ষণও দিয়েছে মন্ত্রণালয়ে।

পর্যবেক্ষণে বেবিচক জানিয়েছে, ২০১৭ সালের বিদ্যমান আইনের ১৪ ধারায় সংস্থাটির চেয়ারম্যানকে বিমান নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশ, আদেশ ও বিজ্ঞপ্তি জারি এবং সংশোধনের ক্ষমতা দেওয়া আছে, যা আন্তর্জাতিক মান ও বিধিবিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এই ক্ষমতার ফলে আইকাও (ICAO) থেকে প্রেরিত প্রস্তাবের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব হয়।

কিন্তু নতুন প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ‘রুলস অব বিজনেস’-এর ১৪(ক) অনুচ্ছেদ অনুসরণের কথা বলা হয়েছে, যেখানে কোনো সময়সীমা নির্ধারিত নেই। বেবিচকের মতে, এর ফলে আইকাও নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব নাও হতে পারে, যা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বিমান নিরাপত্তা মান রক্ষায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বেবিচক আরও জানায়, আইকাও সাধারণত নতুন নিয়ম বা সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানোর সময় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময়ের মধ্যে মতামত না জানালে প্রস্তাবটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গৃহীত বলে বিবেচিত হয় এবং পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তা কার্যকর করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে আইকাও নির্ধারিত সময়সীমা মানা সম্ভব হবে না।

সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, এ ধরনের বিলম্ব হলে আইকাও বাংলাদেশকে ‘গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, যা দেশের বিমান খাতের জন্য বড় ধরনের আঘাত হতে পারে।