কেউ ভোট হাইজ্যাক করতে চাইলে যুবক হয়ে বিস্ফোরিত হবো: জামায়াত আমির
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:২২ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী নির্বাচনে ভোট হাইজ্যাকের চেষ্টা করা হবে। কেউ গাছে কাঁঠাল রেখে গোপনে তেল দিচ্ছে, মাসল আর ব্যাগ মানি দিয়ে অন্যের ভোট দখল করতে চাইছে। “তাদের প্রতি আমাদের স্পষ্ট বার্তা- যুবক হয়ে বিস্ফোরিত হবো, ইনশাল্লাহ”
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে কাফরুল দক্ষিণ থানার আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “যুবকদের ভোট নিয়ে কেউ কাড়াকাড়ি করলে তা আমরা বরদাস্ত করবো না। তোমরা তোমাদের ভোট নিজে দেবে। আমরা তোমাদের পাশে থেকে লড়াই করবো, সাহস দেব এবং শক্তি দেব। কোনো ডাকাত যেন তোমাদের বুকের দিকে হাত বাড়ানোর সাহস দেখায় না। এখন থেকে যুবকদের সেভাবে থাকতে হবে।”
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যাকে তুমি পছন্দ কর, তাকে ভোট দাও। আমাকে দিবা না দিবা, এটা তোমার বিষয়। কিন্তু তোমার স্বাধীনতার জন্য আমরা লড়াই করবো, ইনশাল্লাহ।”
শেখ হাসিনার মামলার রায়ের প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান মন্তব্য করেন, “এতে মজলুমদের কান্না কিছুটা হলেও থামবে। স্বজনহারা পরিবারগুলো সাময়িক কিছু সান্ত্বনা পাবে। আমরা মনে করি, বিচার ন্যায়ের মানদণ্ড অনুযায়ী হয়েছে কারণ এটি লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছে। সরকার ও বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান, প্রযোজ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট- আমরা কারো ওপর অবিচার চাই না। প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায়ের অধিকার রয়েছে। অন্যের ওপরও অবিচার হওয়া উচিত নয়।”
চাঁদাবাজ ও দুর্বৃত্তদের বিষয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “জামায়াত ক্ষমতায় এলে কোনো সম্পদশালীর সম্পদ কেড়ে নেবে না, বরং তাদের পাহারাদারি করবে। কোনো চাঁদাবাজ শিল্পপতি বা ব্যবসায়ীকে ভয় দেখাতে পারবে না। এলাকার ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা আমরা নিশ্চিত করবো। বাপ-দাদার জমিদারি ও ব্যবসায়ীকে ভয় দেখানো সব চাঁদাবাজ নির্মূল করা হবে। যদি চাঁদামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা যায়, দেশের অগ্রগতি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে যাবে। দ্রব্যমূল্যও অর্ধেকে নেমে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “চাঁদাবাজদের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ী, হোলসেলার থেকে ফুটপাথের হকার- সবাই অতিষ্ঠ। আমরা নিশ্চিত করবো, তারা সম্মানের সঙ্গে ব্যবসা করবে। আর কোনো চাঁদাবাজ তাদের ব্যাহত করতে পারবে না।”
নারীদের কর্মঘণ্টা নিয়ে তাঁর বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমেরিকায় আমি বলেছিলাম, ইনসাফের দাবি পূরণ করতে গিয়ে মহিলাদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে। কেউ এটি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছে। আমরা চিন্তাভাবনা করে বলেছি। একজন মহিলা শুধু কর্মজীবী নয়, তিনি মা। পরিবারের ভারসাম্য ঠিক থাকলে রাষ্ট্রও ঠিক থাকে।”
ডা. শফিকুর রহমান যুক্ত করেন, “কর্মঘণ্টা কমালে মহিলা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারবে। কাজ শেষে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে সে নিজের সন্তানকে সময় দিতে পারবে, লালন পালন করবে এবং পরিবারের অন্যান্য দায়িত্বও পালন করবে। এটি সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”