তারেক রহমানের জন্য কৃষক মোতালেবের রাজকীয় চেয়ার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৫:৫৬ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৫
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ীর কৃষক মো. আব্দুল মোতালেব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে একটি রাজকীয় চেয়ার তৈরি করেছেন। মোতালেব বলেছেন, “কোনো প্রতিদানের আশায় নয়, শুধুই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থেকেই আমি এই চেয়ার বানিয়েছি।”
এলাকাবাসী তাকে ‘খেজুর মোতালেব’ নামে চেনে। দারিদ্র্য দূর করতে ১৯৯৮ সালে সৌদি আরবের শ্রমিক হিসেবে পাড়ি জমানো মোতালেব ২০০১ পর্যন্ত সেখানে খেজুর বাগানে কাজ করেন। সেই সময় তিনি জানতে পারেন, মরুভূমির দেশে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিমগাছ লাগিয়েছিলেন, যা আজও হাজিদের ছায়া দিচ্ছে। এই অনুপ্রেরণায় তিনি দেশে ফিরে সৌদি আরব থেকে ৩৫ কেজি খেজুর বীজ নিয়ে চাষ শুরু করেন।
মোতালেবের খেজুর বাগান তখন পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৪ সালের ১৬ জুন ভালুকার খেজুর বাগান পরিদর্শন করেন। প্রায় এক ঘণ্টা তিনি বাগান ঘুরে দেখেন। তবে মোতালেব তখন তাকে বসানোর জন্য উপযুক্ত চেয়ার দিতে পারেননি। সেই স্মৃতি এবং শ্রদ্ধার কারণে তিনি রাজকীয় চেয়ার বানানোর উদ্যোগ নেন।
২০০৮ সাল থেকে মোতালেব এই আসবাব তৈরি শুরু করেন। স্থানীয় কাঠমিস্ত্রি সুজনের সহায়তায় প্রতিদিন সন্ধ্যায় কাজ করা হয়। তারেক রহমানের জন্য বানানো চেয়ারটি নির্মাণ করা হয়েছে ৯৫ কিউবিক ফিট কাঁঠাল কাঠ দিয়ে। এছাড়া তিনি আরও একটি ময়ূর সিংহাসন, বিশাল খাট, ডাইনিং টেবিল এবং দুটি রাজকীয় কাঠের পাখা তৈরি করেছেন।
মোতালেব জানিয়েছেন, “চেয়ারের নকশা আমি নিজেই করেছি। কাজ শেষ হওয়ার পর নকশার কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছি যাতে কেউ আবার এমন চেয়ার বানাতে না পারে। এটি সম্পূর্ণ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতিফলন।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ও ভালুকা উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মামুন বলেন, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে এই উদ্যোগ একটি অনন্য উদাহরণ। আমাদের নেতা ও সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয়তাবাদী দলের প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে আসছেন।”
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকার রোকন বলেন, “২০০৪ সালে তারেক রহমান খেজুর বাগান পরিদর্শন করে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সেই স্মৃতি মনে রেখে মোতালেব যদি ভালোবেসে শ্রদ্ধাভরে চেয়ার বানিয়ে থাকেন, এটি তার ভালোবাসার নিদর্শন। প্রিয় নবী (সা.)’র পছন্দের ফল খেজুর সফলভাবে দেশের মাটিতে ফলানোও একটি প্রশংসনীয় কাজ।”