বিমানের দুই কর্মী টায়ার চুরির অভিযোগে বরখাস্ত
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:১৩ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৫
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে ব্যবহৃত এবং অকশনের জন্য সংরক্ষিত ১০টি টায়ার অনুমতি ছাড়া বিক্রির অভিযোগে দুই কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া কর্মীরা হলেন ম্যাটারিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার মো. আরমান হাসান ও স্টোর হেলপার সামছুল হক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. সাফিকুর রহমান।
বিমান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে অকশনের জন্য রাখা এসব টায়ার গোপনে বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কাছে বিক্রি করেন অভিযুক্ত দুই কর্মী। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে বিমান প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এ বি এম রওশন কবীর জানান, “কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া টায়ার বিক্রির অভিযোগে বৃহস্পতিবার আরমান হাসান ও সামছুল হককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।”
বিমান এমডি ও সিইও ড. সাফিকুর রহমান বলেন, “অপরাধীদের সঙ্গে কোনো আপস নেই। এখন থেকে বিমানে কর্মরত কেউ অপরাধ করলে ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই।”
বিমান প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিমান কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ শুরু হয়েছে, যা চলমান থাকবে।”
এর আগে ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় ১০টি আনসার্ভিসেবল টায়ার হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশে থাকা অকশন শেড থেকে খোয়া যাওয়ার অভিযোগে বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন বিমানবন্দর থানায় জিডি করেন।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, “বিমানবন্দরের অকশন শেড থেকে খুঁজে না পাওয়া ১০টি টায়ার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়নি।”
এ বিষয়ে বিমানের জনসংযোগ কর্মকর্তা রওশন কবীর বলেন, “ব্যবহৃত টায়ারগুলো অকশনের জন্য রাখা ছিল। কিন্তু দুই কর্মী তা বিক্রি করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
অন্যদিকে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “বিমানের চেয়ে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের সংখ্যা বেশি। ব্যবহার করা টায়ার নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।”