আমার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর হলে কারও বাড়িই নিরাপদ নয়: কাদের সিদ্দিকী
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৬:২৪ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের টাঙ্গাইল শহরের বাসায় শনিবার রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। তারা বাসার নিচতলা ও দ্বিতীয় তলার সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে ভাঙচুর করে। এ সময় ভবনে থাকা দুটি গাড়ি ও বেশ কয়েকটি জানালার কাঁচ ভেঙে ফেলে হামলাকারীরা।
রোববার দুপুরে নিজ বাসায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, "এই ষড়যন্ত্রে এই সরকার ভিড়ছে কি-না; তা আমি বলতে পারব না। তবে আমার মত সর্বোচ্চ খেতাবধারীর ব্যক্তির বাড়িতে যদি হামলা ভাঙচুর হয়। তাহলে তো কারও বাড়িই নিরাপদ নয়।"
বাসার কেয়ারটেকার রাজু মিয়া সকালে জানান, হামলার সময় কাদের সিদ্দিকী তৃতীয় তলায় ঘুমাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত ইট-পাটকেল ছুঁড়তে ছুঁড়তে বাড়ির গেট টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে। তারা নিচতলায় থাকা দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং জানালার কাচ ভেঙে দেয়। আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মঞ্চ ৭১’-এর উদ্যোগে ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অনেকে। সেখান থেকে লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে মব তৈরি করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, "বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকীসহ তাদেরকে মব সৃষ্টি করে যারা পুলিশের হাতে তুলে দিল; তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার।" তিনি আরও বলেন, "আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই সরকার যা করছে; সেখানে থেকে বেড়িয়ে আসতে বলছি। আমি এই গ্রেপ্তারের নিন্দা জানাই। আমার বাড়িতে যে হামলা হলো; এই হামলার মধ্যে দিয়ে সব হামলা বন্ধ করতে হবে। সরকারকে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করব। আমি দেশবাসীকে বলব, আপনারা এই অন্যায় রুখে দাড়ান। তা না হলে পরবর্তী প্রজন্মের জীবন সম্পদ হুমকির মধ্যে পরবে।"
এদিকে বাসাইল উপজেলার শহীদ মিনারে কাদেরিয়া বাহিনীর আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ডাকা হয়। একই সময় ও স্থানে ছাত্রসমাবেশের ব্যানারে আরেকটি সমাবেশ আহ্বান করা হয়। পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে। শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।