রাশিয়ায় গোপন সফরে ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীরা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:২৬ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ায় গোপন সফরে গিয়েছিলেন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের একটি প্রতিনিধি দল, যারা নিষিদ্ধ সামরিক গবেষণা ইউনিটের সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করছে পশ্চিমা সূত্র। এই সফর নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস গোপন সূত্রের বরাতে জানায়, ২০২৪ সালের আগস্টে এই সফর অনুষ্ঠিত হয়। সফরে নেতৃত্বে ছিলেন ৪৩ বছর বয়সী ইরানি পারমাণবিক পদার্থবিদ আলি কালভান্দ, যিনি কূটনৈতিক পরিষেবা পাসপোর্ট ব্যবহার করে মস্কো পৌঁছান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও চারজন সদস্য।
সফরের সময় কালভান্দ দাবি করেছিলেন, তারা একটি বেসরকারি পরামর্শক সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করছেন। তবে পশ্চিমা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, ওই প্রতিনিধি দলে একজন সামরিক কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তা এবং ইরানের প্রতিরক্ষামূলক উদ্ভাবন ও গবেষণা সংস্থা (SPND)–এর সদস্যরা ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র SPND-কে ২০০৪ সালের আগের ইরানের পরমাণু অস্ত্র প্রকল্পের উত্তরসূরি সংস্থা বলে মনে করে এবং এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।
রাশিয়ায় সফরের সময় প্রতিনিধি দলটি দ্বৈত-ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনকারী বেশ কয়েকটি কোম্পানি পরিদর্শন করে। তারা ইলেকট্রন অ্যাক্সিলারেটর, ক্লিস্ট্রন, পারমাণবিক ইমপ্লোশন সিমুলেশন ও নিউট্রন জেনারেটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি পর্যবেক্ষণ করে। এসব উপাদান বেসামরিক এবং সামরিক– উভয় খাতেই ব্যবহৃত হতে পারে।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস আরও জানায়, সফরকারীদের মধ্যে একজন ছিলেন সেই কোম্পানির সাবেক প্রধান, যেটিকে ওয়াশিংটন SPND-এর জন্য ক্রয় ফ্রন্ট হিসেবে কাজ করার দায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইরান বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তাদের দাবি, পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। গত মাসে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, “পশ্চিমারা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে সংঘাতের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। অথচ ধর্মীয়ভাবে আমরা নিজেরাই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে।”
তবে ইরান ইন্টারন্যাশনাল দাবি করে, ইরান SPND-কে পুনর্গঠন করে গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে।