ভারতের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট বন্ধ, বিদ্যুতের দাম বাড়ার আশঙ্কা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:২৪ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৫
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় তামিলনাড়ুতে অবস্থিত দেশের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ৩ আগস্ট থেকে বন্ধ থাকা কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউনিট-১ এর এই অবস্থা দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুতের চাহিদায় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতীয় কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (সিইএ) ৭ আগস্ট প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ইউনিটটি ৬৫ দিন বন্ধ থাকবে। এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় তামিলনাড়ুর পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও বিদ্যুতের ঘাটতির আশঙ্কা বৃদ্ধি পেতে পারে।
তামিলনাড়ু ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড জেনারেশন কোম্পানির এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, যদি বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়, তবে রাজ্যকে বাজার থেকে বিদ্যুৎ কেনার প্রয়োজন হতে পারে। তবে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন হওয়ায় ওই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান।
কেরালা স্টেট ইলেকট্রিসিটি বোর্ড লিমিটেড (কেসইবিএল) জানিয়েছে, এই ইউনিট বন্ধ থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে বিদ্যুতের ঘাটতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে স্বল্পমেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয়ের খরচ বেড়ে যাবে। পিক আওয়ারে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে হয়েছে, যেখানে প্রতি ইউনিটের দাম সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৮ রুপি (প্রায় ০.১০৪৮ ডলার) হয়েছে।
কেসইবিএল আরও জানিয়েছে, চলতি মাসে প্রায় ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি সরবরাহের বিভ্রাটের কারণে আরও জটিল হতে পারে।
অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর সরকারি কর্মকর্তারা জানান, কুদানকুলামের ১ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউনিট-২ স্বাভাবিকভাবে চলছে।
ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমান প্রায় ৯ গিগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি করে ১০০ গিগাওয়াটে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।