বাংলাদেশ ঋণের ‘২৬০ কোটি টাকা’ ফেরত দেয়নি, দাবি করল পাকিস্তান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:০১ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৫
চার দশক পেরিয়ে গেলেও পাঁচটি দেশ থেকে ৩০৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ ফেরত আদায়ে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির সাম্প্রতিক সরকারি অডিটে এ তথ্য উঠে এসেছে। ঋণখেলাপি দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও।
পাকিস্তানের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম সামা টিভি মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) জানায়, সরকারি অডিটে দেখা গেছে, কয়েক দশক আগে দেওয়া এ ঋণ আদায়ে একাধিক কূটনৈতিক ও আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা চালালেও গত ৪০ বছর ধরে বিষয়টি অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের থেকে ঋণ নিয়ে এখনো ফেরত দেয়নি শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইরাক, সুদান এবং গিনি বিসাউ। ১৯৮০ ও ৯০-এর দশকে রপ্তানি ঋণের আওতায় এ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে শুধু ইরাকের কাছ থেকে ২৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, সুদানের কাছে ৪৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন, বাংলাদেশের কাছ থেকে ২১ দশমিক ৪ মিলিয়ন এবং গিনি বিসাউয়ের কাছে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে।
অডিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশকে এই ঋণ দেওয়া হয়েছিল চিনি কারখানা ও সিমেন্ট প্রকল্পের জন্য। বর্তমান ডলার বিনিময় হার অনুযায়ী এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬০ কোটি টাকারও বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো এ ঋণ আদায়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনে পাকিস্তানের অডিটর জেনারেল অফিস। তবে এত বছরেও অর্থ উদ্ধারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাওনা আদায়ের চেষ্টা চালানো হয়েছে। ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর কাছে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হলেও তাতে কোনো সাড়া মেলেনি।
সূত্র: সামা টিভি