ফিলিস্তিন ছাড়াও জর্ডান-মিশর দখলের ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৪:৪৬ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি বর্তমানে এক “ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মিশন” পরিচালনা করছেন এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি হলো বৃহত্তর ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা। এতে ফিলিস্তিনের নির্ধারিত ভূখণ্ড ছাড়াও জর্ডান ও মিশরের অংশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সম্প্রতি ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল আই-২৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু এই মন্তব্য করেন। টাইমস অব ইসরায়েল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি “বৃহত্তর ইসরায়েল” ধারণার প্রতি অত্যন্ত অনুরাগী এবং এটিকে নিজের পরিকল্পনার কেন্দ্রে রাখছেন।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন শ্যারন গাল, যিনি এক সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের ডানপন্থি সদস্য ছিলেন। আলাপচারিতার সময় গাল নেতানিয়াহুকে একটি তাবিজ উপহার দেন, যাতে ছিল “প্রতিশ্রুত ভূমি” বা বৃহত্তর ইসরায়েলের মানচিত্র।
বৃহত্তর ইসরায়েলের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি মূলত ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখলে যাওয়া পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা, সিনাই উপদ্বীপ ও গোলান মালভূমিকে নির্দেশ করে। লিকুদ পার্টির অগ্রদূত জে’ইভ জাবোতিনস্কি ও অন্যান্য প্রভাবশালী জায়নবাদীরাও একই ধারণা পোষণ করতেন, যেখানে গাজা, পশ্চিম তীর ও বর্তমান জর্ডানও অন্তর্ভুক্ত।
ইহুদি জনগণের পক্ষ থেকে কোনো বিশেষ মিশনে আছেন কি না এমন প্রশ্নে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি বহু প্রজন্ম ধরে চলমান এক মিশনের অংশ। তার ভাষায়, ইহুদিরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এখানে ফেরার স্বপ্ন দেখেছে, এবং ভবিষ্যতের প্রজন্মও সেই স্বপ্ন বহন করবে। আপনি যদি জানতে চান ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিকভাবে আমার মধ্যে কোনো মিশন আছে কি না, তবে আমার উত্তর হবে হ্যাঁ, বলেন তিনি।