ইয়েমেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:০৮ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০২৫
ইসরায়েলি নৌবাহিনী ইয়েমেনের রাজধানী সানার কাছে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। রবিবার ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এ খবর জানানো হয়। হামলায় বড় বিস্ফোরণ ঘটলেও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, হুথি-সংযুক্ত আল মাসিরাহ টিভি দাবি করেছে, হামলায় হেজইয়াজ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেনারেটর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আগুন লাগলেও তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, জরুরি কর্মীরা বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পেরেছেন। সানার বাসিন্দারা অন্তত দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলেও জানা গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হুথিরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ব্যবহার করছিল। তবে এটি প্রমাণে কোনো উপাত্ত উপস্থাপন করেনি, যা একে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়েছে।
রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, “এ হামলা ছিল হুথির ধারাবাহিক আক্রমণের প্রত্যক্ষ জবাব।” হুথির এসব আক্রমণের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাও রয়েছে।
২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানের বিরুদ্ধে হুথি গোষ্ঠী ইসরায়েলের দিকে নিয়মিত রকেট ও ড্রোন ছুড়ে আসছে। এর জবাবে ইসরায়েল ইয়েমেনের অবকাঠামোতে পাল্টা হামলা চালায়, যার মধ্যে হোদেইদা বন্দরের মতো মানবিক সহায়তার কেন্দ্রও ছিল।
ইসরায়েলের দিকে ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হলেও এ পরিস্থিতি আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও হুথিদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে, কারণ তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজে আক্রমণ করে আসছিল।
এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটে। মে মাসে হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্র হুথির সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা বন্ধ করে এবং হুথি যুক্তরাষ্ট্র সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা বন্ধ করে দেয়। তবে হুথিরা জানায়, এ চুক্তি ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রমে প্রযোজ্য নয়।
যুদ্ধবিরতির আগে মার্কিন বাহিনীর শত শত হামলায় আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এ সমঝোতা “বোমাবর্ষণ বন্ধ করবে”। তবে চুক্তিটি ইসরায়েলকে “হতবাক” করে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, “প্রয়োজনে তাদের দেশ একাই নিজেদের রক্ষা করবে।”