গাজা সিটির বাসিন্দাদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান হামাসের
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০১:০৬ এম, ১৮ আগস্ট ২০২৫
গাজা সিটির বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়ার ইসরায়েলি পরিকল্পনাকে নতুন করে “গণহত্যা ও বাস্তুচ্যুতির” সামিল বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। সংগঠনটি দাবি করেছে, এ পরিকল্পনার আড়ালে ইসরায়েল নতুন এক দফা নৃশংসতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। রোববার এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করে হামাস, জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দক্ষিণ গাজায় তাঁবু ও আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনের যে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল, তা কোনো মানবিক উদ্যোগ নয় বরং একটি সুস্পষ্ট প্রতারণা। মানবিক সহায়তার আড়ালে একটি ভয়াবহ অপরাধ ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা সিটি থেকে বাসিন্দাদের দক্ষিণাঞ্চলে স্থানান্তরের জন্য রোববার থেকে তাঁবু ও অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে, যাতে তারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে নিরাপদে থাকতে পারেন।
চলতি আগস্ট মাসের শুরুতে ইসরায়েল গাজার উত্তরাঞ্চলে নতুন সামরিক অভিযান চালিয়ে গাজা সিটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়। এই পদক্ষেপে আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে প্রায় ২২ লাখ মানুষের আবাসস্থল ধ্বংসপ্রাপ্ত এই উপত্যকার ভবিষ্যৎ নিয়ে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালালে চলমান যুদ্ধ শুরু হয়। ইসরায়েল জানায়, হামলায় তাদের ১,২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মা করা হয়। এখনও প্রায় ২০ জন জিম্মি জীবিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই হামলায় গাজার অধিকাংশ বাসিন্দা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, উপত্যকায় চরম খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এবং অঞ্চলটির বৃহৎ অংশ পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।
সূত্র: রয়টার্স