ইসরায়েলের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী: নেতানিয়াহু


ইসরায়েলের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী: নেতানিয়াহু

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজকে “বিশ্বাসঘাতকতা” করার অভিযোগ করেন। নেতানিয়াহু আরও বলেন, আলবানিজ দেশের ইহুদি সম্প্রদায়কে “অবহেলা” করেছেন।

বুধবার (২০ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। গত মঙ্গলবার নেতানিয়াহু বলেন, ইতিহাস আলবানিজকে “যেমন তিনি আসলেই একজন দুর্বল রাজনীতিক” হিসেবে মনে রাখবে।

বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়া সোমবার নেতানিয়াহুর ডানপন্থি জোটের এক সদস্যকে দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করা অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করে।

অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্ক বলেন, নেতানিয়াহুর রাগের কারণ হলো ক্যানবেরা সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার সঙ্গে মিলিত হয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বার্ক অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে বলেন, “শক্তি মানে কত মানুষকে হত্যা করা যায় বা কত মানুষকে অভুক্ত রাখা যায়, সেটা নয়।”

নেতানিয়াহুর মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ইসরায়েলের বিরোধী দলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদও। এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, “আজকের গণতান্ত্রিক বিশ্বে কোনো নেতাকে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী করে তোলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে সংঘাত—যিনি পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে ‘বিষাক্ত রাজনীতিক’। বোঝা যাচ্ছে না কেন বিবি এত তাড়াহুড়ো করে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর হাতে এই উপহার তুলে দিচ্ছেন।”

কূটনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয় সোমবার, যখন অস্ট্রেলিয়ায় সফর করার আগে নেতানিয়াহুর ডানপন্থি সহযোগী সিমখা রথম্যানের ভিসা বাতিল করা হয়। রথম্যান অস্ট্রেলিয়ান জিউয়িশ অ্যাসোসিয়েশন (এজেএ) আয়োজিত কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা ছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বার্ক তখন স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার বিভেদ ছড়ানোর জন্য আসা লোকদের ব্যাপারে “কঠোর অবস্থান” নিচ্ছে। তিনি বলেন, “আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ায় আসেন ঘৃণা ও বিভেদের বার্তা ছড়াতে, তাহলে আপনাকে আমরা চাই না।”

এর আগে গত বছর বার্ক ইসরায়েলের সাবেক বিচারমন্ত্রী ও ডানপন্থি রাজনীতিক আয়েলেত শাকেদকেও ভিসা দিতে অস্বীকার করেছিলেন।

রথম্যানের ভিসা বাতিলের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সা’আর ঘোষণা দেন, তিনি ক্যানবেরার ইসরায়েলি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ভিসা আবেদনগুলো সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করা হয়। এক্সে তিনি আরও লেখেন, “অস্ট্রেলিয়ায় যখন ইহুদিবিদ্বেষ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে, ইহুদি ও ইহুদি প্রতিষ্ঠানগুলো সহিংসতার শিকার হচ্ছে, তখন অস্ট্রেলিয়ার সরকার উল্টো সেটিকেই উৎসাহ দিচ্ছে।”

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×