ইসরায়েলিদের হাত থেকে ফিলিস্তিনের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রক্ষায় ইউনেস্কোর প্রতি আহ্বান
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৩২ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৫
অধিকৃত পশ্চিম তীরের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোকে ইসরায়েলি দখল ও চুরির হাত থেকে রক্ষায় জাতিসংঘের সংস্কৃতি ও শিক্ষা সংস্থা ইউনেস্কোর প্রতি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পশ্চিম তীরের ৬৩টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে নিজেদের ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করার ইসরায়েলের সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আইন, জেনেভা কনভেনশন এবং বিভিন্ন চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “এটি দখলদার সরকারের ঔপনিবেশিক মতাদর্শের অংশ, যার উদ্দেশ্য পশ্চিম তীরকে ধীরে ধীরে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করা, ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক ও পরিচয় পরিবর্তন করা এবং ভূগোল ও জনসংখ্যার বাস্তবতায় নতুন বৈশিষ্ট্য চাপিয়ে দেওয়া।”
ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয়ের দাবি, কোনো প্রমাণ ছাড়াই এসব স্থানকে দখলের এই পদক্ষেপ ইতিহাস বিকৃতির শামিল। তারা একে “দস্যুতা ও প্রতারণার মাধ্যমে বসতি সম্প্রসারণের বৃহত্তম প্রচেষ্টা” এবং “বর্তমান ও ইতিহাসকে অস্বীকার করার প্রকাশ্য অপরাধ” হিসেবে অভিহিত করেছে।
এছাড়া বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়, ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ড ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে দুর্বল করবে এবং প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মূল পরিচয় মুছে ফেলবে।
এর আগের দিন, ফিলিস্তিনভিত্তিক সংস্থা অ্যাপ্লাইড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-জেরুজালেম (এআরআইজে) জানায়, ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরের ৬৩টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে ‘ইসরায়েলি ঐতিহ্যবাহী স্থান’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
এআরআইজের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েল এরই মধ্যে পশ্চিম তীরের ২৪০০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি স্থাপনাকে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান বাড়ানোর পাশাপাশি ইসরায়েল বুধবার নতুন করে সাড়ে চার হাজার বসতি স্থাপনের প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। এর পরপরই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোকে নিজেদের ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করার এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।