ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পুলিশ টিম মোতায়েন করেছে জার্মানি
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ১০:৪০ এম, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
ফিলিস্তিনে জার্মানির পুলিশি টিম মোতায়েন করা হয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, সম্প্রতি কয়েকজন নিরস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তাকে এই অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) জার্মানির স্থানীয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করা এবং এলাকার স্থিতিশীলতা পুনঃস্থাপনের চেষ্টা জোরদারের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডোব্রিন্ড জার্মান প্রেস এজেন্সি (ডিপিএ) কে বলেন, "মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি কার্যকর পুলিশ বাহিনী অপরিহার্য।" তিনি আরও জানান, এ কারণেই জার্মান ফেডারেল পুলিশের একটি উচ্চপদস্থ দলকে জেরুজালেমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডোব্রিন্ড বলেন, জেরুজালেম থেকে এই দল ফিলিস্তিনি অঞ্চলে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী পুনর্গঠনের কাজে সহায়তা করছে এবং তারা অফিস ফর সিকিউরিটির (ওএসসি) অধীনে কাজ করছে।
ডিপিএ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা দুই সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনে পৌঁছেছেন। তাদের মূল কাজ হলো ফিলিস্তিনি বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে জার্মানির দীর্ঘমেয়াদী অবদানকে সম্প্রসারিত করা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন ইইউবিএএম রাফাহ ২০২৫ সালের শুরু থেকে আবার সক্রিয় হয়েছে। এই মিশনের প্রধান লক্ষ্য হলো গাজা উপত্যকা ও মিশরের রাফাহ সীমান্তে নিরপেক্ষ উপস্থিতি বজায় রাখা। তবে বর্তমানে এটি স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় রয়েছে।
জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে মিশনে দুইজন জার্মান পুলিশ কর্মকর্তা যুক্ত রয়েছেন। তারা ইসরায়েলের রামাত গানে অবস্থান করছেন এবং এখান থেকে সমন্বয় ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এর পাশাপাশি, জার্মানির অংশগ্রহণে আরেকটি ইইউ মিশন ইইউপল কপস আগামী জানুয়ারিতে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করবে। এটি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উন্নয়নে সহায়তা করে। সর্বশেষ একজন জার্মান পুলিশ কর্মকর্তা অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত মিশনে কাজ করেছেন।
এদিকে, জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার স্থিতিশীলতা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দক্ষিণ ইসরায়েলে জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর তিনজন কর্মকর্তা অবস্থান করছেন। তারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন সিভিল-মিলিটারি কোঅর্ডিনেশন সেন্টারে ইউনিফর্মে থাকলেও নিরস্ত্র অবস্থায় কাজ করছেন।