দিল্লি বিস্ফোরণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৪ চিকিৎসকের নিবন্ধন বাতিল
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:১৮ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লিতে সাম্প্রতিক গাড়িবোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন চারজন চিকিৎসকের পেশাগত নিবন্ধন বাতিল করেছে। এই চারজন হলেন মুজাফফর আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথের, মুজাম্মিল শাকিল এবং শাহীন সাঈদ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, নিবন্ধন বাতিলের পর তারা আর ভারতের কোনো জায়গায় চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতে বা স্বাধীনভাবে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না।
এনএমসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “চারজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে এবং এই অভিযোগকে সমর্থন করে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই তাদের নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এই চারজনের মধ্যে মুজাফফর আহমেদ, আদিল আহমেদ রাথের এবং মুজাম্মিল শাকিল কাশ্মিরের বাসিন্দা, আর শাহীন সাঈদের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌতে। ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন জানায়, তারা এই তথ্য জম্মু-কাশ্মির পুলিশ, জম্মু-কাশ্মীর মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং উত্তরপ্রদেশ মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সংগ্রহ করেছে। কমিশনের শুক্রবারের বিবৃতিতে বলা হয়, “ডাক্তারের পেশায় যে সততা ও দায়বদ্ধতা প্রয়োজন, তা এবং জনসাধারণের আস্থার সঙ্গে চারজনের আচরণ পুরোপুরি অসঙ্গতিপূর্ণ।”
গত ১০ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির লাল কিল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে গাড়ির চালকসহ ১৩ জন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হন। বিস্ফোরণের প্রধান সন্দেহভাজন উমর নবী ঘটনাস্থলেই মারা যান। উমর পুলওয়ামার বাসিন্দা এবং তিনি নিজেও চিকিৎসক ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত গাড়ির চালক উমর নিজেই ছিলেন।
দিল্লিতে বিস্ফোরণের প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জম্মু-কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলায় পাকিস্তানি কাশ্মিরভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই মহম্মদের পোস্টার সাঁটার সময় গ্রেপ্তার হন আদিল আহমেদ রাথের। পরে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ থেকে মুজাফফর আহমেদ ও মুজাম্মিল শাকিল, এবং উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুর জেলা থেকে শাহীন সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের দুই দিন পরই দিল্লিতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণ ঘটে।
গ্রেপ্তারদের তথ্য অনুযায়ী ফরিদাবাদ ও শাহারানপুর থেকে মোট ২ হাজার ৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ার দুই দিন পরেই দিল্লিতে হামলার ঘটনা ঘটে।