২০০টিরও বেশি খাদ্যপণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০২:৫১ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রে খাদ্যদ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দামের চাপে সাধারণ ভোক্তাদের অসন্তোষ বাড়তে থাকায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক আলোচিত পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি ২০০টিরও বেশি খাদ্যপণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক তুলে নিয়েছেন, যা বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে। কফি, গরুর মাংস, কলা এবং কমলার রসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য এতে অন্তর্ভুক্ত।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প জানান, ‘কিছু ক্ষেত্রে’ শুল্ক মূল্য বাড়াতে পারে, যদিও তার দাবি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ‘প্রায় নেই’। তিনি আরও বলেন, আগামী বছরে শুল্ক আয়ের একটি অংশ নিম্ন ও মধ্য আয়ের পরিবারকে ২,০০০ ডলার করে প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এদিন ট্রাম্প প্রশাসন আর্জেন্টিনা, ইকুয়েডর, গুয়াতেমালা ও এল সালভাদরের সঙ্গে প্রাথমিক বাণিজ্যচুক্তির একটি কাঠামোও উন্মোচন করে। চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন হলে এসব দেশ থেকে আমদানিকৃত নির্দিষ্ট খাদ্যপণ্য ও অন্যান্য কিছু সামগ্রীতে শুল্ক আর থাকবে না।
মার্কিন ভোক্তাদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত খাদ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে গরুর কিমা, স্টেক, কলা, টমেটো এবং কমলার রস। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, শুধু সেপ্টেম্বরেই কিমার দাম প্রায় ১৩ শতাংশ এবং স্টেকের দাম ১৭ শতাংশ বেড়েছে। কলার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ শতাংশ, টমেটোর ১ শতাংশ।
শিল্প সংগঠনগুলো এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এফএমআই-ফুড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লেসলি সারাসিন মন্তব্য করেন, ‘আজকের পদক্ষেপ ভোক্তাদের সহায়তা করবে। বিশেষ করে সকালের কফি এখন সাশ্রয়ী হবে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের উত্পাদকরাও এই পণ্যের ব্যবহার করে তাদের উৎপাদন প্রক্রিয়ায় সুবিধা পাবে।’ তবে ইউরোপ ও ব্রিটেনের মদ পণ্য তালিকা থেকে বাদ যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের আতিথেয়তা খাতের জন্য এটি ‘অতিরিক্ত ধাক্কা’ বলে মনে করেন ডিস্টিলড স্পিরিট কাউন্সিলের সভাপতি ক্রিস স্বঙ্গার।
ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে ‘ছোট রোলব্যাক’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘কফির দাম সাময়িকভাবে বেশি ছিল, এখন খুব শিগগিরই কম হবে।’
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রেসিডেন্ট মূলত খাদ্য ও দৈনন্দিন পণ্যের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতিই সামনে রেখে বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ডেমোক্র্যাটিক নেতা রিচার্ড নিলের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন এখন সেই সমস্যার সমাধান দেখাতে চাইছে, যা তাদের নীতিতেই সৃষ্টি হয়েছে। নিল বলেন, ‘শুল্ক যুদ্ধের ফলে ভোক্তাদের ব্যয় বেড়েছে এবং উৎপাদন কমেছে।’