৩ দশক পর মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের দখলে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মডং
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:০৬ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
মিয়ানমারের কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়নের (কেএনইউ) সশস্ত্র শাখা এবং তাদের মিত্ররা তিন দশকেরও বেশি সময় পর আবারও থাইল্যান্ড সীমান্তঘেঁষা মডং শহরের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে বলে দাবি করেছে জান্তাবিরোধী বাহিনী।
গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) কারেন যোদ্ধারা তানিনথারি অঞ্চলের এ পাহাড়ি শহরটি সম্পূর্ণভাবে নিজেদের দখলে নেয়। সিংখন পাসের পাশে অবস্থিত মডং শহরটি থাইল্যান্ডের প্রাচুয়াপ খিরি খান প্রদেশের একেবারে নিকটবর্তী। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এটি কেএনইউ-র মাইয়িক জেলার সদরদপ্তর ছিল, পরে জান্তা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ দখল করে নেয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।
শহর পুনর্দখলে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও তাদের সহযোগীরা চার দিন আগে অভিযান শুরু করে। শুক্রবার সকালে জান্তা বাহিনীর শেষ সদস্যকেও থাইল্যান্ডের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করার পর মডং পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে আসে।
কেএনএলএ-র চতুর্থ ব্রিগেডের এক সদস্য জানান, ‘এখন আমি যা বলতে পারি, সেটা হল পুরো শহরই আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
কেএনইউ-র মাইয়িক জেলার সম্পাদক এস এনা দো বলেন, ‘মডং সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এর কৌশলগত গুরুত্বও অনেক। কেএনএলএ দুটি সামরিক চৌকি ও একটি সরকারি প্রশাসনিক কার্যালয় দখলে নিয়েছে। আনুমানিক ৬০ জান্তা সেনা থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।’
নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া জান্তা বাহিনী ওয়াই-১২ উড়োজাহাজ ব্যবহার করে বোমা হামলা চালায়, এতে শহরের বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর মডংয়ের প্রায় হাজার বাসিন্দা নিরাপত্তার খোঁজে পাশের গ্রামগুলোতে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন তাদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে সহায়তাকারী স্বেচ্ছাসেবীরা।
মডং পুনর্দখলের ফলে কেএনইউ এখন থাইল্যান্ড সীমান্ত থেকে থেইনকুন গ্রাম পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে পেয়েছে। তানিনথারি শহর থেকে থেইনকুন পর্যন্ত প্রধান সড়কটি প্রায় দুই বছর ধরেই কেএনএলএ অবরোধ করে রেখেছে, ফলে জান্তা এ এলাকায় প্রবেশ করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন এক পক্ষত্যাগী সদস্য।