নির্বাচনী প্রচারে তারেক রহমানের ছবি ব্যবহারে আপত্তি এনসিপির
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৩:৩৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
আগামী নির্বাচনের আগে দলীয় প্রধান ছাড়া অন্য কারো ছবি ব্যবহার বন্ধে কঠোর নজরদারি চাইলো জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলটি জানায়, প্রচারে তারেক রহমান বা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছবি দেখলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আয়োজিত সংলাপে এনসিপির নেতারা এ মতামত তুলে ধরেন।
এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, ‘দলীয় প্রধানের ছবি ছাড়া অন্য কারো ছবি না রাখতে পারার বিধান রাখায় স্বাগত জানাই। এখন খালেদা জিয়া হচ্ছেন বিএনপির প্রধান, তারেক রহমানের বা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছবি কেউ ব্যবহার করলে এই বিধি ব্যবহার করে ব্যবস্থা নিতে হবে। তখন এই কমিশনের সক্ষমতা আমরা দেখতে পারব।’
সংলাপে দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘নির্বাচনী জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে পারে; এই সিদ্ধান্তে অটল থাকার অনুরোধ জানাব নির্বাচন কমিশনকে।’ তিনি আরও মন্তব্য করেন, ‘কেউ যদি নিজের শরীর থাকে কিন্তু অন্যের জামা পরে যায়… সেটা ঠিক নয়। এখন একটা সুযোগ এসেছে নিজ দল নিয়ে মানুষের কাছে যাওয়ার।’
তিনি প্রস্তাব করেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের জন্য একজন করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হলে যোগাযোগ আরও সহজ হবে এবং নির্বাচনী কার্যক্রমও স্বচ্ছতা ও গতিশীলতার সঙ্গে সম্পন্ন করা যাবে।
বিলবোর্ড সংক্রান্ত বিধান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জহিরুল ইসলাম মূসা। তিনি বলেন, ‘বিলবোর্ডের ক্ষেত্রে কাপড় দিয়ে করা, এটা প্র্যাকটিক্যাল না। দলে ব্যয় ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এখন একটা বিলবোর্ড করতেই ২০ লাখ টাকা লাগে। এতে অন্যায্য প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এগুলো কীভাবে ব্যবস্থা করবেন। একটা সুন্দর বিধি আপনারা করেছেন। কিন্তু আইনের ভেতরে অনেক অস্পষ্টতা এবং কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে।’
মাইক ব্যবহারে শব্দসীমা বাস্তবায়ন নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘মাইকের ক্ষেত্রে ৬০ ডেসিবল শব্দের মাত্রার কথা বলেছেন। কিন্তু এটা মাপার যন্ত্র কী আছে? নির্বাচন ঘনিয়ে এলে অস্ত্রের ঝনঝনানি নিয়ন্ত্রণ করে কীভাবে অন্য দলের প্রার্থীকে সুরক্ষা দেবেন। যে আইন করেছেন সেটা বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা এবং সদিচ্ছা নাই আপনাদের। তরুণ প্রার্থীদের জনগণের কাছে পৌঁছানের সুযোগ দিতে হবে। অবশ্যই আগের মন্ত্রী, এমপিদের সঙ্গে এক মঞ্চে বিতর্কের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। যারা পেশি বা কালো টাকা বা অস্ত্র দিয়ে ভোট নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তাদেরও একই বৈঠকে বিতর্কের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।’
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা নির্বাচনী প্রচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার ঠেকাতে মেটা ও টিকটকের সঙ্গে সমন্বয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।