আচরণবিধি মেনে নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান মঈন খানের
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- প্রকাশঃ ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
নির্বাচনকে ঘিরে চলমান মতবিনিময় প্রক্রিয়াকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোরভাবে আচরণবিধি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান। পাশাপাশি তিনি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিজস্ব লোকবল সর্বোচ্চ কাজে লাগানো এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির অভ্যন্তরীণ জনবল থেকে নিয়োগ দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এসব মতামত তুলে ধরেন।
ড. মঈন খান বলেন, মতবিনিময় নতুন নয়; আগের আলোচনাগুলোর মতো এবারও প্রক্রিয়াটি ইতিবাচকভাবেই দেখা উচিত। তবে প্রার্থীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে—নিয়মকানুন মেনে নির্বাচন করা এবং আচরণবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করা।
তফসিলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তফসিলের বাইরে যাওয়ার সুযোগ দেখছি না। আমরা যেসব পরামর্শ দিয়েছিলাম, সবকিছুর প্রতিফলন দেখছি না।”
তিনি আরও মনে করেন, শুধুমাত্র অঙ্গীকারনামা দিয়ে কোনো পরিবর্তন আসবে না, বরং শাস্তির বিধান স্পষ্ট না হলে নিয়ম ভঙ্গের প্রবণতা বেড়ে যাবে।
এআই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অপতথ্যের উত্থান নিয়েও সতর্ক করেন তিনি। মঈন খান বলেন, বাকস্বাধীনতার নতুন মাত্রা তৈরি হয়েছে, তবে স্বাধীনতার অপব্যবহার রোধেও দায়িত্বশীলতা জরুরি।
ইসির ভূমিকাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিকালে রয়েছে এবং এমন সময়ে ইসির দৃঢ় অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি কমিশনকে বিদ্যমান জনবল আরও কার্যকরভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির নিজস্ব লোকবল থেকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি তোলেন। তার মতে, এতে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা মানে যা ইচ্ছা তাই করা নয়; এটি নিয়মমাফিক আচরণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। অতীত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, অঙ্গীকারনামা যতই দেওয়া হোক, আচরণ পরিবর্তন না হলে তার কোনো বাস্তব ফল পাওয়া যায় না।
ধর্মীয় উপাসনালয়কে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার না করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখা এবং বর্ণ-লিঙ্গ-ধর্মভিত্তিক বৈষম্য থেকে বিরত থাকার বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ সমর্থন জানান। ধর্ম যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক হাতিয়ার না হয়—এ কথাও জোর দিয়ে বলেন।
সবশেষে, তিনি নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা দৃঢ়ভাবে প্রয়োগ করার এবং কোনো চাপের কাছে নত না হওয়ার আহ্বান জানান।