প্রেমের টানে ৪৭২ মাইল গিয়ে জানলেন প্রেমিকা আসলে বিবাহিতা
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:১৭ পিএম, ২০ জুলাই ২০২৫
একজন বেলজিয়ান যুবকের প্রেমের গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম, কথা ছিল বিয়েরও। কিন্তু সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় যখন ৪৭২ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন, তিনি একজন বিবাহিত নারী।
ঘটনাটি উঠে এসেছে Fox News-এর প্রতিবেদনে। তাতে বলা হয়, বেলজিয়ামের মিচেল নামের এক যুবক তার কথিত প্রেমিকা, ফ্রেঞ্চ মডেল সোফি ভুজেলাউদকে সারপ্রাইজ দিতে গাড়ি চালিয়ে হাজির হন তার বাড়িতে। সোফির ঠিকানায় পৌঁছে মিচেল যে দৃশ্যের মুখোমুখি হন, তা তার কল্পনাতেও ছিল না—সোফির স্বামী ফ্যাবিয়েন বাউন্টামাইন নিজেই দরজা খুলে দেন।
তাদের কথোপকথনের একটি ভিডিও পরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে ফ্যাবিয়েন বলেন, “আমি ভিডিওটি করেছি একজন অপরিচিত যুবকের জন্য, যে কিনা কিছু সময় আগে আমার বাড়ির কলিং বেল চেপেছিলেন। দরজা খোলার পর তিনি বলেন, তিনি নাকি সোপির হুব বর। কিন্তু আমি তো তার বর্তমান স্বামী। একটা ঝামেলা হতে চলেছে।”
ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব মিচেল দাবি করেন, সোফি তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
“আমার ধারণা, সোপি আমার সঙ্গে কোনো নোংরা খেলা খেলেছে,” বলেন তিনি।
ফ্যাবিয়েন পাল্টা জবাবে বলেন, “সে আমার স্ত্রী। সে এমনটা করতে পারে না। মনে হয় ভূয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি প্রতারিত হয়েছেন। আপনার আরও সাবধান থাকা উচিত।”
সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয়ের সূত্র ধরে গড়ে ওঠা সম্পর্ক নিয়ে মিচেল জানান, তিনি সোফির জন্য প্রায় ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। এক পর্যায়ে সোফি তাকে জানান, তিনি গর্ভবতী হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে তার গর্ভপাত হয়।
তবে ফ্যাবিয়েন এসব দাবি নাকচ করে বলেন, “সোপি এখানেই আছে। আপনার বিষয়টির জন্য আমরা দুঃখিত। সোপি অনেক ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করে। হয়তো সেসব ভিডিও থেকে কেউ ভূয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। আপনার আরও সাবধান থাকা প্রয়োজন।”
২০০৭ সালে সোফি ভুজেলাউদ ছিলেন মিস ফ্রান্স প্রতিযোগিতার প্রথম রানার আপ। পরে তিনি মিস লিমুজিন খেতাবও জয় করেন। সামাজিক মাধ্যমে নিয়মিত সক্রিয় সোফি ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে থাকেন।
শেষ পর্যন্ত নিজেই কথোপকথনে যুক্ত হন সোফি। পুরো ঘটনাটি শুনে তিনি ব্যথিত হয়ে বলেন,
“আপনার কষ্ট আমার মনকে ব্যথিত করেছে। তথ্য প্রমাণ নিয়ে আপনার পুলিশের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।”
প্রেমে প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন কি না, তা এখনও তদন্তসাপেক্ষ। তবে এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় গড়ে ওঠা সম্পর্ক নিয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান উঠেছে নানা মহল থেকে।