নতুন পারমাণবিক বাস্তবতা মেনে নিতে হবে ট্রাম্পকে: উত্তর কোরিয়া
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৮:২২ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫
উত্তর কোরিয়া স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, অতীতের সম্মেলনগুলো যেসব ভিত্তির ওপর হয়েছিল, এখন সেগুলো আর প্রযোজ্য নয়। ভবিষ্যতের কোনো আলোচনাও তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে পারবে না—এমন বার্তাই দিয়েছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই অবস্থান তুলে ধরা হয়।
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং, যিনি সাধারণত ভাইয়ের পক্ষ থেকে বক্তব্য দিয়ে থাকেন, এই প্রসঙ্গে বলেন, কিম ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ নয়।
তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি ওয়াশিংটন এই ব্যক্তিগত সম্পর্ককে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম বন্ধের হাতিয়ার হিসেবে দেখার চেষ্টা করে, তাহলে তা কেবল উপহাস হিসেবে বিবেচিত হবে।
কিম ইয়ো জং আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি নতুন বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করে অতীতের ব্যর্থ কৌশলেই চলতে চায়, তাহলে উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বৈঠক যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কেবল একটি আশা হয়েই থাকবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্সির সময় তিনটি শীর্ষ বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। এখন দেশটির পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা অস্বীকার করা হলে তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যাত হবে।
এদিকে, কেসিএনএর আরেক প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশক পর সরাসরি যাত্রীবাহী বিমান চলাচল সোমবার থেকে আবার শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিঙ্গাপুরে কিম জং উন ও ট্রাম্প প্রথমবার বৈঠকে বসেন এবং কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি সই করেন। তবে পরের বছর হ্যানয়ে দ্বিতীয় সম্মেলনটি ব্যর্থ হয়, মূলত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে মতবিরোধের কারণে।
ট্রাম্প বহুবার বলেছেন, কিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক চমৎকার। হোয়াইট হাউসও একাধিকবার জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এ নেতার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যোগাযোগে আগ্রহ রয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স