যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা


যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনকে সামনে রেখে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) একাধিক কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মতে, যেসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের আর মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ফিলিস্তিন অথরিটি এবং পিএলও তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং শান্তি প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ ও পিএলও ১৯৮৯ সালের পিএলও আইন এবং ২০০২ সালের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রতিশ্রুতি আইন ভঙ্গ করেছে। ওই আইনে নির্ধারিত ছিল— ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করার চেষ্টা, কথিত সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া, এবং কথিত সন্ত্রাসীদের ও তাদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান— এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকা যাবে না।

আগামী সেপ্টেম্বরেই নিউইয়র্কে শুরু হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশন। সাধারণত প্রতি বছর এই অধিবেশনে অংশ নেয় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দল। তবে এবার নিষেধাজ্ঞার কারণে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি ঠিক কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, তাই এর প্রভাব কতটা হবে, তা স্পষ্ট নয়।

এই সময়েই জাতিসংঘে ইউরোপের একাধিক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিন অথরিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রশাসন পশ্চিমতীরে নিয়ন্ত্রণ করে, যেখানে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করেন। ওই অঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ ইসরায়েলিও অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে গাজা অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে হামাস।

সূত্র: রয়টার্স

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×