কিয়েভে রুশ হামলায় ৩১ জন নিহত
- আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৯:১৮ এম, ০২ আগস্ট ২০২৫
রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলায় ফের রক্তাক্ত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ। ৩১ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত থেকে ১ আগস্ট শুক্রবার ভোর পর্যন্ত একটানা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩১ জন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জনই শিশু ও কিশোর, যাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটটির বয়স মাত্র দুই বছর।
হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫০ জন। ভয়াবহ এই আক্রমণের পর আজ শনিবার ইউক্রেনজুড়ে পালিত হচ্ছে জাতীয় শোকদিবস।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে, কারণ বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকতে পারেন।
জেলেনস্কি বলেন, "ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক ভবনের ধ্বংস্তূপগুলোতে দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা অনুসন্ধান তৎপরতা চালাচ্ছেন। আমরা এখনও জানি না— কত জন মানুষ এসব ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছেন।”
তিনি আরও জানান, রুশ বাহিনীর এই আক্রমণে কিয়েভের অন্তত ১০০টির বেশি স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকায় রয়েছে আবাসিক ভবন, বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন, বিশ্ববিদ্যালয় ভবন ও চিকিৎসাকেন্দ্র। রাজধানীর একটি নয়তলা ভবনের বড় একটি অংশ পুরোপুরি ধসে পড়েছে।
জেলেনস্কি আরও জানান, “সদ্য বিদায় নেওয়া জুলাই মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে ৫,১০০টিরও বেশি গ্লাইড বোমা, ৩,৮০০ শাহেদ ড্রোন এবং ২৬০টির মতো বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে ১২৮টি ছিল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।”
এটি কিয়েভে রুশ বাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হামলা বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এর আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে একই ধরনের এক আক্রমণে ৩৩ জন নিহত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। সে সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনাগুলোই টার্গেট করা হবে। তবে যুদ্ধের বাস্তব চিত্র বারবার সেই বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমাণ করে চলেছে।