টাইম ম্যাগাজিনের কভারে স্থান পেল ‘দ্য গাজা ট্র্যাজেডি’


টাইম ম্যাগাজিনের কভারে স্থান পেল ‘দ্য গাজা ট্র্যাজেডি’

বিশ্ববিখ্যাত সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিন তাদের সর্বশেষ সংখ্যার কভারে স্থান দিয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভয়াবহ মানবিক সংকটের চিত্র। “The Tragedy Unfolding in Gaza” শিরোনামে প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি প্রতিক্রিয়া হিসেবে গাজায় চলা নির্বিচার হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ ও মানবিক দুর্দশার বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, একসময় মানবিক জীবনধারার প্রতীক হিসেবে পরিচিত গাজা, যেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সমাজসেবা ছিল জীবনের অংশ, তা আজ প্রায় পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে, ফলে ত্রাণ সরবরাহ ও সহায়তা কার্যক্রমে মারাত্মক সংকট দেখা দেয়।

পরবর্তীতে ‘গাজা হিউমেনিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ সীমিত পরিসরে চারটি বিতরণ কেন্দ্রে ত্রাণ কার্যক্রম চালু করলেও, যা আগে ছিল চার শতাধিক কেন্দ্র—তা সামগ্রিক সংকট মোকাবিলায় একেবারেই অপর্যাপ্ত।

খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় ইনটিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন জানিয়েছে, গাজা বর্তমানে দুর্ভিক্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে। শিশুদের মধ্যে প্রায় ২৮ হাজার মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে এবং অন্তত ১২২ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে ক্ষুধার কারণে।

টাইম ম্যাগাজিনের এই বিশেষ প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, ইসরায়েল যুদ্ধকে আরও নিষ্ঠুর করতে দুর্ভিক্ষকে একটি ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে। ত্রাণকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি সেসব স্থানে ইসরায়েলি হামলা পরিস্থিতিকে আরও করুণ করে তুলেছে।

বিশ্লেষণে আরও বলা হয়েছে, শিশু ও দুস্থদের প্রতি এই নিষ্ঠুরতা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে মানবাধিকার বিষয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই প্রতিবেদন শুধু তথ্য নয়, বরং একটি গভীর অনুসন্ধান—যা দেখায় কীভাবে গাজার সামাজিক কাঠামো পরিকল্পিতভাবে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।

টাইমের এই কাভারস্টোরি বিশ্বজুড়ে নৈতিক প্রশ্ন ও রাজনৈতিক বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

 

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন dhakawatch24@gmail.com ঠিকানায়।
×