ট্রাম্পের হুমকির পর রাশিয়া পাশে দাঁড়াল ভারতের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ার পর প্রকাশ্যে ভারতের পক্ষ নিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার মস্কো স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, ওয়াশিংটন ভারতের ওপর ‘অনৈতিক বাণিজ্য চাপ’ প্রয়োগ করছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা অনেক বিবৃতি শুনছি, যা হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করার চেষ্টা হিসেবে এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা এসব বিবৃতিকে বৈধ বলে মনে করি না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি সার্বভৌম দেশগুলোর নিজেদের বাণিজ্যিক অংশীদার ও অর্থনৈতিক সহযোগীদের বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং এই অধিকার থাকা উচিত। কারণ এটি তাদের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”

এরই মধ্যে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার থেকে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মস্কো যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। সেইসঙ্গে রাশিয়ার কাছ থেকে যারা জ্বালানি কিনবে, তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার অবস্থানে কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেননি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ট্রাম্পের এই হুমকিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে নয়াদিল্লি আগেই জানিয়েছে, তারা নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের এমন অবস্থানের পরই যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

রয়টার্সকে দেওয়া বক্তব্যে ভারত সরকারের দুটি সূত্র জানায়, সব চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখবে ভারত।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যে ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন, যা কার্যকর হবে আগামী ৭ আগস্ট থেকে।

সূত্র: রয়টার্স