হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মেয়র তাপসসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মেয়র তাপসসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

রাজধানীর আলোচিত চকবাজার হত্যাচেষ্টা মামলায় দীর্ঘ তদন্তের পর সাবেক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত, যা মামলাটিকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। বুধবার ১৯ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক চার্জশিটে স্বাক্ষর করেন। আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ হিসেবে ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই হাসানুর রহমান গত ৩১ আগস্ট আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। চার্জশিটে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এবং ঢাকা–৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমও উল্লেখযোগ্য আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ৫ আগস্ট বকশিবাজার আলিয়া মাদ্রাসা এলাকার চৌরাস্তা মোড়ে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের একটি বিক্ষোভ মিছিল পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা মিছিলে হামলা চালায়। অভিযোগে বলা হয়েছে, পুলিশ টিয়ারশেল ছোড়ে এবং এলোপাতাড়ি গুলি করলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। বিশৃঙ্খলার মধ্যে মামলার বাদী ফজলুর করিমকে লক্ষ্য করে অভিযুক্তরা হামলা চালায়, যাতে তিনি আহত হন। ঘটনার প্রায় তিন মাস পর, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ফজলুর করিম চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম আইন সংশোধনকে স্বাগত জানিয়েছে ইইউ

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম আইন সংশোধনকে স্বাগত জানিয়েছে ইইউ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের করা শ্রম আইন সংশোধনকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থাটি বলছে, নির্বাচনের পর দায়িত্ব নেওয়া রাজনৈতিক সরকার যেন দ্রুত এই সংশোধনী কার্যকর করে—এ প্রত্যাশা তাদের। বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইইউ জানায়, শ্রম অধিকার সংহত করার পথে এই সংশোধনী একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। বাংলাদেশের জন্য ইইউ বাজারে দীর্ঘমেয়াদে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা বজায় রাখতে এই উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে তারা মনে করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের গোড়ার দিকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সামনে রেখে বাস্তবায়ন ও নীতিগত ধারাবাহিকতা এখন অত্যন্ত জরুরি। যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক, তারা দ্রুতই সংশোধিত শ্রম আইনকে পূর্ণাঙ্গভাবে আইনে রূপ দেবে—এতে আস্থা রাখছে ইইউ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি আইএলও কনভেনশন ১৫৫, ১৮৭ ও ১৯০ অনুমোদনের বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছে, যা কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং সহিংসতা–হয়রানি প্রতিরোধের ওপর গুরুত্ব দেয়। এসব পদক্ষেপ ইইউ–বাংলাদেশ সহযোগিতার সম্পর্ককে আরও ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা দরকার: প্রধান উপদেষ্টা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুর সেনানিবাসে ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কোর্স-২০২৫ এর গ্র্যাজুয়েশন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। ড. ইউনূস বলেন, দেশের মানুষ যে নির্বাচনের জন্য দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছে, সেটিকে একটি শান্তিপূর্ণ উৎসব এবং আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা একান্তভাবে কামনা করছি। জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং এই কারণে আমি তাদের ভূমিকাকে ভূয়সী প্রশংসা করি।’ এবারের কোর্সে বাংলাদেশসহ চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তানসহ মোট ২৪টি দেশের ৩১১ জন তরুণ সামরিক কর্মকর্তা অংশ নেন। কোর্স সম্পন্নকারী অফিসাররা অর্জিত জ্ঞান ভবিষ্যতে ব্যক্তিগত ও পেশাগত দায়িত্ব পালনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানে সরকারের উপদেষ্টারা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং তিন বাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে ভারতের বিরুদ্ধে ১-০ গোলে অর্জিত বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এই জয় এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে দেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার ফুটবলপ্রেমী দর্শক দ্বারা পরিপূর্ণ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশের এই সাফল্য ২২ বছর পর ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে প্রথম জয় হিসেবে ইতিহাসে যুক্ত হলো। প্রধান উপদেষ্টা বার্তায় বলেন, "এই জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে। এটি কেবল একটি ফুটবল ম্যাচের জয় নয়; এটি লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী, যারা খেলাধুলাকে ইতিবাচক শক্তির উৎস হিসেবে দেখে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা। জাতি গঠনে খেলাধুলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এমন একটি জয় এক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি।" তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, এই সাফল্য বাংলাদেশের ফুটবলের গৌরবময় দিনগুলোকে ফিরিয়ে আনার পথে সহায়ক হবে। প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, "২০২৪ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফুটবলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে" এবং আশা ব্যক্ত করেন যে, ভবিষ্যতের সরকারগুলোও এই সহায়তার ধারা অব্যাহত রাখবে।

জাতীয়
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

আওয়ামী লীগের ‘জন্মস্থান’ রোজ গার্ডেন কিনে রাষ্ট্রের ক্ষতি ৩৩২ কোটি টাকা

পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন ভবন ক্রয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ৩৩২ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই ভবনেই স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, “যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে কমিশন ব্যবস্থা নেবে।” প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগ উঠেছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ‘রোজ গার্ডেন’ ভবন ক্রয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ৩৩২ কোটি টাকার ক্ষতি করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাপ্ত তথ্য ও নথি যাচাই-বাছাই করে কমিশন এই অনুসন্ধান শুরু করেছে। ২০১৮ সালে ব্যক্তি মালিকানাধীন এই পুরাকীর্তি ভবনটি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কিনে নেয়। ক্রয়ে ব্যয় হয়েছিল ৩৩১ কোটি ৭০ লাখ ২ হাজার ৯০০ টাকা। ৮ আগস্ট ২০১৮ সালে সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এটি অনুমোদিত হয়। রোজ গার্ডেন ভবনটি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের জন্মদাতা হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে এই দল ‘আওয়ামী লীগ’ নামে পরিচিতি পায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দলটি স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভবনের ইতিহাসও বিশেষ। ১৯৩১ সালে ঋষিকেশ দাস ২২ বিঘা জমিতে এই বাগানবাড়ি তৈরি করেন, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে আনা বিরল প্রজাতির গোলাপের বাগান এবং করিন্থীয়-গ্রীক শৈলীতে প্রায় ৭ হাজার বর্গফুট আয়তনের দোতলা ভবন নির্মিত হয়। ঋষিকেশ দাস দেউলিয়া হওয়ার পর ১৯৩৬ সালে বাড়িটি বিক্রি হয়। পরবর্তী মালিকদের মধ্যে থাকেন বই ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ ও তার ভাই কাজী হুমায়ূন। ১৯৭০ সালে বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয় মোশন পিকচার্স লিমিটেডকে, যা ‘বেঙ্গল ষ্টুডিও’ নামে পরিচিত হয়। ১৯৯৩ সালে স্টুডিও চলে গেলে বাড়ি ফিরে আসে কাজী হুমায়ূন পরিবারের হাতে। ১৯৮৯ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ভবনটি সংরক্ষিত ঘোষিত করলেও মালিকানা মূল পরিবারের কাছে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত বর্তমান মালিক লায়লা রকীব ও তার সন্তানদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন দলিল মূলে ভবনটি ক্রয় করা হয়।

বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

দিল্লিতে অজিত দোভালের সঙ্গে খলিলুর রহমানের বৈঠক

রাজনীতি
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি নিয়ন্ত্রণে: জামায়াতের উদ্বেগ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম জোনাল হেড মুহাম্মাদ শাহজাহান দেশের স্বার্থবিরোধী পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি চট্রগ্রাম বন্দর বিদেশি অপারেটরের নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র হলেও এটি দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত অত্যন্ত স্পর্শকাতর সম্পদ। তাই তাড়াহুড়ো করে অস্বচ্ছ ও গোপন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া অগ্রহণযোগ্য।” মুহাম্মাদ শাহজাহান অভিযোগ করেছেন, বর্তমান সরকার কোনো দরপত্র ছাড়াই পতিত স্বৈরাচারের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যুক্ত একটি বিদেশি কোম্পানিকে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (NCT) হস্তান্তরের চেষ্টা করছে। এছাড়া বন্দরের অন্যান্য টার্মিনালের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপেও জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তিনি দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন:১. বন্দরের উন্নয়ন দেশীয় ব্যবস্থায় সম্পন্ন করতে হবে।২. প্রয়োজন হলে দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি জনবলকে নিয়োগ দিয়ে দেশীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং উন্নত যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ক্রয় করতে হবে।৩. বিদেশি অপারেটরকে বন্দরের দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক দরপত্র নীতিমালা অনুসরণ করে জনগণকে অবহিত করে চুক্তি করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “কোনো গোপন চুক্তি বা দরপত্রবিহীন অবৈধ চুক্তি জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করবে এবং এর দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তাবে।” মুহাম্মাদ শাহজাহান আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের বিষয়ে সরকার স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করলে তা দেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য হুমকিস্বরূপ হবে।”

বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

৫ দফা বাস্তবায়নে ৭ বিভাগে সমাবেশের ডাক জামায়াতসহ ৮ দলের

সারাদেশ
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

গুন্ডামি-মাস্তানি করে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ শেষ: নুর

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, জনগণের ভোট ছাড়াই কেন্দ্রে দখল করে কেউ আর ইউনিয়ন, উপজেলা বা সংসদে জনপ্রতিনিধি হতে পারবে না। এখন থেকে গুন্ডামি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের সুযোগ থাকবে না। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ভিপি নুর বলেন, “আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ একটি ঐতিহাসিক মোড়ে দাঁড়াবে। এই নির্বাচনই ঠিক করবে দেশের উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক পথের গতি। গত ৫০ বছরের রাজনীতিতে আমরা দেখেছি ধর-মার-খা সংস্কৃতি; জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে লুটপাট করেছেন। একটি মসজিদের জন্য বরাদ্দ থাকা ৩ লাখ টাকার মধ্যে ১.৫ লাখ টাকাই কাজে যায়, রাস্তার জন্য বরাদ্দ ২ কোটি টাকার মধ্যে বাস্তবে এক কোটি টাকাও ঠিকমতো ব্যবহার হয় না।” সভা পরিচালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন শাখার সদস্য সচিব ইমরান হাওলাদার। সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন আহ্বায়ক মফিজুর রহমান মাহফুজ। এতে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ভিপি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এ আসনে এখনও বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি। স্থানীয় রাজনৈতিক গুঞ্জন আছে, জোট গঠিত হলে বিএনপি এই আসন ভিপি নুরের জন্য ছাড়তে পারে। তার সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনকে।

আমার এলাকার খবর
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

পাকিস্তানে খাইবার পাখতুনখাওয়ায় অভিযানে ২৩ ‘ভারত-সমর্থিত’ জঙ্গি নিহত

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে দুই দফা অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে ২৩ জঙ্গি। পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এদের সবাই ছিল ‘ভারতের মদদপুষ্ট খারেজি’। বুধবার ১৯ নভেম্বর এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানায় আইএসপিআর। বিবৃতিতে বলা হয়, বাজাউর এলাকায় সন্ত্রাসীদের অবস্থানের সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পাওয়ার পর অভিযান চালানো হয়। সেখানে কমান্ডার সাজ্জাদ আবাজু সহ মোট ১১ জন জঙ্গি নিহত হয়। অন্যদিকে, গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বান্নু ডিভিশনে আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে নিরাপত্তা বাহিনী। এ অভিযানে আরও ১২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, ওই এলাকায় ভারত-সমর্থিত অন্য কোনো সন্ত্রাসী সক্রিয় আছে কি না তা নিশ্চিত করতে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শেষ জঙ্গি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত চলবে। এদিকে পাকিস্তানকে নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। অপারেশন সিঁদুরের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর কেবল ট্রেলার ছিল এবং ভবিষ্যতে সুযোগ মিললে পাকিস্তানকে দায়িত্বশীল আচরণের শিক্ষা দেওয়া হবে।” তার মন্তব্য, পাকিস্তান যদি সুযোগ দেয়, “আমরা দেখিয়ে দেব দায়িত্বশীল আচরণ বলতে কী বোঝায়।” তিনি আরও বলেন, আজকের দিনে কোনো দেশ একা যুদ্ধ লড়তে পারে না। গত সোমবার নয়াদিল্লিতে ‘চাণক্য ডিফেন্স ডায়ালগস’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা এবং সমন্বিত সামরিক শক্তি ভারতের বাহিনীকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো জবাব দিতে সক্ষম করেছে। তিনি এটিকে “৮৮ ঘণ্টার ট্রেলার” উল্লেখ করে বলেন, ভবিষ্যতে অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হলে পাকিস্তানকে “পড়শি দেশের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ কী হওয়া উচিত” তা শিখিয়ে দেওয়া হবে। তিনি অনুষ্ঠানে আরও বলেন, “অপারেশন সিন্দুর ছিল কেবল ট্রেলার মাত্র, যা ৮৮ ঘণ্টায় শেষ হয়েছে। ভবিষ্যতের যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত। পাকিস্তান যদি সুযোগ দেয়, আমরা দেখিয়ে দেব দায়িত্বশীল আচরণ বলতে কী বোঝায়।”

বাংলাদেশ ফুটবল দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

লেবাননের একাধিক জায়গায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

অর্থনীতি
একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম বাড়ল দ্বিগুণ

একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম বাড়ল দ্বিগুণ

বাংলাদেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। বুধবার বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। এর আগে মঙ্গলবার প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৩৬৪ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছিল সোনার দাম। তবে একদিনের ব্যবধানে তা প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ দুই হাজার ৬১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের সভায় দাম বাড়ানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনা ও রূপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে এই দাম কার্যকর থাকবে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট সোনার দাম প্রতি গ্রাম ১৭ হাজার ৯৬৩ টাকা। এই হিসাবে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। ২১ ক্যারেট মানের সোনার দাম প্রতি গ্রাম ১৭ হাজার ১৪৭ টাকা। অর্থাৎ প্রতি ভরি সোনার দাম পড়বে ২ লাখ টাকা। ১৮ ক্যারেট মানের সোনা প্রতি গ্রাম ১৪ হাজার ৬৯৭ টাকা হিসেবে ভরি পড়বে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম প্রতি গ্রাম ১২ হাজার ২২৫ টাকা হিসেবে প্রতি ভরি পড়বে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা। সোনার পাশাপাশি রূপার দামও নির্ধারণ করে দিয়েছে বাজুস। ক্যাটাগরি অনুযায়ী ২২ ক্যারেট রূপার দাম প্রতি গ্রাম ৩৬৪ টাকা হিসেবে প্রতি ভরি ৪ হাজার ২৪৬ টাকা। ২১ ক্যারেট রূপা প্রতি গ্রাম ৩৪৭ টাকা হিসেবে প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা।এছাড়া ১৮ ক্যারেট রূপা প্রতি গ্রাম ২৯৮ টাকা হিসেবে ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম প্রতি গ্রাম ২২৩ টাকা হিসেবে প্রতি ভরি ২ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজুস জানিয়েছে, সোনা ও রূপার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করতে হবে। এর বাইরে বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি বা মেকিং চার্জ যুক্ত হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরির তারতম্য হতে পারে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

ভারত থেকে ১৩,৫২৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি

ভারত থেকে ১৩,৫২৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি

খেলাধুলা
বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

বাবর আজমকে শাস্তি দিলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে পাকিস্তান। তবে সিরিজ জয়ের আনন্দের মাঝেই বিতর্কে জড়িয়েছেন বাবর আজম। শেষ ম্যাচে আউট হওয়ার পর স্টাম্পে ব্যাট দিয়ে আঘাত করায় পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ককে শাস্তি দিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে বাবরের ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট—গত ২৪ মাসে যা তার প্রথম। আইসিসির আচরণবিধির ২.২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে ক্রিকেট সরঞ্জাম, পোশাক কিংবা মাঠের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো আচরণ শাস্তিযোগ্য। বাবরকে এ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের ইনিংসের ২১তম ওভারে। তখন ৩৪ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন বাবর। শ্রীলঙ্কার স্পিনার জেফরি ভান্ডারসের বলে বোল্ড হওয়ার পর তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে স্টাম্পে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন।

বিনোদন
মোদির পা ছুঁয়ে ঐশ্বরিয়া বললেন, ‘মানবতাই বড় ধর্ম’

মোদির পা ছুঁয়ে ঐশ্বরিয়া বললেন, ‘মানবতাই বড় ধর্ম’

বলিউড অভিনেত্রী ও প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সম্প্রতি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এক আধ্যাত্মিক গুরুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ঐশ্বরিয়া মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম জানান এবং এরপর সেই গুরু ও নিজের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বক্তব্য দেন। ঐশ্বরিয়া জানান, তিনি একমাত্র ধর্ম ও জাতকে বিশ্বাস করেন- এটি হলো মানবতা এবং ভালোবাসা। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, মানবতাই সব থেকে বড় ধর্ম। আর ঈশ্বর একটাই, তিনি সর্বত্র রয়েছেন।” তাঁর মতে, জীবনের সার্থকতা মানুষের মধ্যে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়াতেই নিহিত। তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবন গঠনে পাঁচটি মূল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: নিয়মানুবর্তিতা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, শ্রদ্ধা এবং বৈষম্যের মধ্যেও ঐক্য। এই পাঁচটি মূলনীতিই মানুষের জীবনকে গড়ে তোলে। বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পর থেকেই ঐশ্বরিয়া নানা সামাজিক উদ্যোগ এবং ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। যদিও সম্প্রতি তার পোশাক নির্বাচন বা চেহারার কারণে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে, তিনি কোনো ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যের প্রতি মনোযোগ দেননি।